রোববার ভোরে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় সুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুন্সি জানান।
সুজন মিয়া ভাষানটেক এলাকার নৈশ প্রহরীর কাজ করার পাশাপাশি দিনে ফুটপাতে চা-বিক্রি করতেন।
তার এলাকায় একটি গাড়ির ব্যাটারির দোকানের মালামাল চুরির অভিযোগ এসেছে জানিয়ে ভাষানটেক থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, “সুজন মিয়াকে ভাষানটেক এলাকা থেকে তুলে নিয়ে হত্যার পর শেরে বাংলা নগর এলাকায় লাশ ফেলে রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
রোববার ভোর ৩টা থকে ৪টার মধ্যে ওই ব্যাটারির দোকান থেকে ১২টি ব্যাটারি এবং প্রায় ৫৫ হাজার টাকা লুট হয়েছে বলে দোকান মালিক পুলিশকে জানিয়েছেন। তবে দোকানের কোনো তালা ভাঙা পায়নি পুলিশ।
ওসি দেলোয়ার বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, দোকানের মালামাল নিতে বাধা দেওয়ায় দুর্বৃত্তরা সুজনকে হত্যা করে।”
খুনি ধরার এবং ঘটনাস্থলের আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
ময়নাতদন্তের জন্য সুজনের লাশ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।