১০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে এই ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে বলে ইয়াং বাংলার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সিআরআইয়ের ভেরিফাইড ফেইসুবক পেইজে মঙ্গলবার এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ইনোভেশন ফর প্রভার্টি অ্যাকশন (আইপিএ), শক্তি ফাউন্ডেশন ফর ডিসঅ্যান্ডভান্সটেসড এবং ব্র্যাকের গভার্নেন্স অ্যান্ড ডেভলোপমেন্ট ইনস্টিটিউটকে (বিআইজিডি) সঙ্গে নিয়ে ‘ডিএনসিসি ম্যাস মাস্কিং ক্যাম্পেইন’ করছে সিআরআই।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, “করোনার ঝুঁকির মধ্যে আমাদের জীবন ব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত তা শেখা এখন গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে জানা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।”
শক্তি ফাউন্ডেশনের উপ নির্বাহী পরিচালক ইমরান আহমেদ, বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
দেশের ৬০০ ইউনিয়নের তিন লাখ ৫০ হাজার মানুষের অংশগ্রহণে বিগত চারমাসে সম্পন্ন করা হয়েছে এই এনওআরএম (নর্ম) গবেষণা কার্যক্রম। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিনামূল্যে মাস্ক সরবরাহ, মাস্ক পরার গুরুত্ব বিষয়ক তথ্য সরবরাহ, জনসমাগমের জায়গায় সবাইকে মাস্ক পরতে বাধ্য করা এবং জনপ্রিয় নেতৃত্বের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া হয়।
গবেষণার তথ্যানুসারে, ‘নর্ম’ মডেল প্রয়োগের মাধ্যমে টেকসইভাবে মাস্ক পরার প্রবণতা বাড়ানো সম্ভব যা ক্যাম্পেইন শেষ করার ১০ সপ্তাহ পরেও কার্যকর থাকে। ঢাকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে 'নর্ম' ক্যাম্পেইন মডেলকে ব্যবহার করছে ডিএনসিসি।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক মুশফিক মোবারক বলেন, “নিয়মিত মাস্ক পরার প্রবণতা তৈরি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আর বাংলাদেশ এই সচেতনতা সৃষ্টির জন্য একটি মডেল উদ্ভাবন করেছে যা মাস্ক তৈরির প্রবণতা দ্রুত বাড়াতে সক্ষম এবং বর্তমানে এই মডেল অনুসরণ করা হচ্ছে ভারত, পাকিস্তান এবং লাতিন আমেরিকার বেশ কিছু অঞ্চলে।
“আসন্ন ঈদের আগে ঢাকায় ডিএনসিসি মেয়রের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে আমরা দ্রুত সময়ে এই মডেল কার্যকর করতে পারব বলে আশা করছি।”
সিআরআইর পলিসি ম্যাগাজিন হোয়াইটবোর্ডের ডিসেম্বর সংখ্যায় ‘কোভিড-১৯ রিকোভারি অ্যান্ড রিইমেজিং’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আইপিএর এই গবেষণার প্রাথমিক কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে সিআরআইয়ের সিনিয়র অ্যানালিস্ট মোফিজ কামাল বলেন, “সকল দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যেও একটি বিষয় নিশ্চিত যে, নিয়মিত মাস্কের ব্যবহার এবং ভ্যাকসিন গ্রহণের মাধ্যমেই কেবল এই করোনা মহামারীর সঙ্গে লড়াই সম্ভব। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সিআরআইর ইয়াং বাংলা মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা তৈরির কার্যক্রম গ্রহণ করেছে, যা নীতি নির্ধারনী পর্যায় থেকেও সমর্থন পাচ্ছে।”
ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন শপিং মল, মার্কেট এবং যাত্রা পথে ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সে কারণেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৮টি জনবহুল এলাকায় ১৫০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে মাস্ক ব্যবহারে সচেতনতা তৈরির জন্য এই ‘নর্ম’ মডেলে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।