‘গোল্ডেন’ মনিরের বিরুদ্ধে মুদ্রাপাচারের মামলা

ঢাকার বাড্ডা থেকে গত বছর বিপুল অর্থ, অস্ত্র ও মদসহ গ্রেপ্তার মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন’ মনিরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2021, 04:44 PM
Updated : 11 May 2021, 04:44 PM

সিআইডির পরিদর্শক মো. ইব্রাহিম হোসেন মঙ্গলবার বাড্ডা থানায় এই মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে বলে বাড্ডা থানার ওসি পারভেজ ইসলাম জানিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মনিরের সহযোগী আবদুল হামিদ (৬০), মনিরের স্ত্রী রওশন আক্তার, ছেলে রাফি হোসেন (২৪), বোন নাসিমা আক্তার, নাসিমার স্বামী হাসান আলী খান (৫২), মনিরের আরেক ভগ্নিপতি নাহিদ হোসেনকে (৪৭)।

“এছাড়াও মনিরকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রিয়াজ উদ্দিন (৬৩), রিয়াজ উদ্দিনের ভাই হায়দার আলী (৫৬) এবং মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিককেও (৫২) আসামি করা হয়েছে,” বলেন ওসি পারভেজ।

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, অপরাধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত অর্থে মনির হোসেন স্ত্রী, ছেলে এবং তার নিজের নামে সরকারি ২০টিসহ ৩০টি প্লট, ১৫টি ভবন, একটি আবাসন প্রতিষ্ঠান এবং দুটি গাড়ির শো রুম করেছেন। ব্যাংকে তার নামে রয়েছে ৭৯১ কোটি পাঁচ লাখ ৯৬ হাজারের বেশি টাকা।

গত বছরের ২১ নভেম্বর মেরুল বাড্ডার বাড়ি থেকে মনিরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সেখান থেকে জব্দ করা হয় নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা, চার লিটার মদ, ৮ কেজি স্বর্ণ, একটি বিদেশি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলি।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সোনা চোরাচালানে’ জড়িত থাকার কারণে তাকে সবাই ‘গোল্ডেন মনির’ নামে চেনে। সোনা চোরাচালান দিয়ে সম্পদ গড়া শুরু করলেও পরে জমির ব্যবসায় জড়িয়ে ‘মাফিয়া’ হয়ে উঠেছিলেন মনির। তার গাড়ির ব্যবসাও রয়েছে।

তদন্তকারীরা বলছেন, মনিরের ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার উপরে সম্পদ রয়েছে। বাড্ডা, নিকেতন, কেরানীগঞ্জ, উত্তরা ও নিকুঞ্জে দুইশর বেশি প্লট রয়েছে তার।

মনিরকে গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে বাড্ডা থানায় তিনটি মামলা করে র‌্যাব। পরে সেসব মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। এর মধ্যে দুটি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা পড়েছে।