পিছিয়ে গেল বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা

করোনাভাইরাস মহামারীর চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা একমাস পেছানো হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2021, 02:34 PM
Updated : 11 May 2021, 02:34 PM

পুনঃনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী, দুই ধাপের প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা ৩১ মে ও ১ জুনের পরিবর্তে যথাক্রমে ৩০ জুন ও ১ জুলাই এবং চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষা ১০ জুনের পরিবর্তে ১০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. ফোরকান উদ্দিন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “কোভিড-১৯ চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় গত রোববার ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি। আজ আমাদের অ‌্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় নতুন তারিখ নির্ধারণ করে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।”

এর আগে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সভায় দুই ধরনের সুপারিশ করা হয়েছিল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বগামী হলে জুলাই ও অগাস্ট মাসে আর সংক্রমণ কম থাকলে জুন ও জুলাই মাসে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেই সুপারিশ অনুযায়ী  চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল অ‌্যাকাডেমিক কাউন্সিল।

শিক্ষার্থী বেছে নিতে এবার দুই ধাপে ভর্তি পরীক্ষা নেবে বুয়েট।

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুটি গ্রুপে আবেদন করা শিক্ষার্থীদের নিয়ে চার শিফটে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে প্রথমে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে সেখানে কোনো পাস নম্বর থাকবে না। পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত ছয় হাজার শিক্ষার্থীকে মূল পরীক্ষার জন্য বেছে নেওয়া হবে।

গত বছর ৬০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা নিলেও এবার পরিবর্তিত মূল পরীক্ষায় মডিউল 'এ'-তে ‘ক’ গ্রুপ ও ‘খ’ গ্রুপে গণিত, পদার্থ, রসায়নের উপর ৪০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। তবে ‘খ’ গ্রুপে আবেদনকারীকে মডিউল 'বি'- তে মুক্তহস্ত অঙ্কন, দৃষ্টিগত ও স্থানিক ধীশক্তি পরীক্ষা দিতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদনের সুযোগ দেয় বুয়েট।

এবার শিক্ষার্থী ভর্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য এলাকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের প্রকৌশল বিভাগ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট তিনটি এবং স্থাপত্য বিভাগে একটি সংরক্ষিতসহ মোট এক হাজার ২১৫ আসন রয়েছে।