শনিবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমার ওপিনিয়ন আজকের মধ্যে দিয়ে দিব। রোববার সকালে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিব।
“পরবর্তীতে আপনারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারবেন।”
দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগারে যাওয়ার পর গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটলে পরিবারের আবেদনে সরকার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়।
৭৬ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সে সময় শর্তে দেওয়া হয়, মুক্ত থাকার সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
এখন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে সরকারের কাছে বুধবার রাতে আবেদন করেছে তার পরিবার। মতামতের জন্য ওই আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রাতেই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার দাপ্তরিক কাজ শেষে বিকালে আইনমন্ত্রীর গুলশানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নথি নিয়ে যান আইন সচিব গোলাম সারওয়ার।
তখন আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার আবেদনের বিষয়টি পর্যালোচনার পর দ্রুত সময়ে মতামত দিয়ে ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বিষয়টি সরকার ‘মানবিকভাবেই’ দেখবে।
তবে ‘সময় শেষ হয়ে যাওয়ায়’ বৃহস্পতিবার আর সে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি।
এর মধ্যে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় খালেদা জিয়ার সাজা ও দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়েছিল। দুটি নির্দিষ্ট শর্তে তাকে সাময়িক মুক্ত দেওয়া হয়েছিল।
“যেহেতু এখানে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা সম্পাদন হয়ে গেছে, এরপর এটাকে আবার ওপেন করার স্কোপ আছে কিনা; সেটা দেখে আমাদের অভিমত যথাশীঘ্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিব।”
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতেই খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদন করা হয়।
নবায়ন হয়ে করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এখন ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন।