একটা ঈদে জামাকাপড় না কিনলে কী হয়, প্রশ্ন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ঈদের আগে দোকানপাট-শপিংমলে কেনাকাটার ভিড় থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2021, 07:16 PM
Updated : 6 May 2021, 07:31 PM

বৃহস্পতিবার ‘কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় করণীয় এবং অক্সিজেন-সঙ্কট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি বলেন, মানুষ যেভাবে কেনাকাটা করছে, তাতে সংক্রমণ ‘আবারও বাড়বে’।

“একটা ঈদে জামাকাপড় না কিনলে কী হয়? মার্কেট সরকার খুলেছে, যাওয়া না যাওয়া আমাদের বিষয়। অনেক নারী ও শিশু মাস্ক পরছে না।”

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হলে বিপণি বিতান ও শপিংমলগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরে ‘জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে’ গত ২৫ এপ্রিল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়।

স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন না করলে দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ হয়ে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে সরকার। সেজন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করা হচ্ছে।

মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কী হতে পারে সে বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “অক্সিজেনের জন্য কীভাবে দাপাদাপি হয়েছে, সেটা আমরা দেখেছি। অ্যাম্বুলেন্সে, হাসপাতালের বারান্দায় কী হয়েছে, সেটা দেখেছি। ভারতেও এমনটা হয়েছে। এ বিষয়গুলো আমাদের মনে রাখতে হবে। আমরা ভুলে যাই। এটা খুবই অন্যায়।”

বাংলাদেশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ভার্চুয়াল এ আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক (ফাইল ছবি)

তিনি বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সর্বোচ্চ অবস্থায় থাকার সময় দৈনিক অক্সিজেনের চাহিদা ছিল সর্বোচ্চ ২১০ টন। বর্তমানে দেশে দৈনিক অক্সিজেন উৎপাদনের সক্ষমতা ২২০ থেকে ২৩০ টন।

দেশে কারখানায় এ মুহূর্তে ৯০০ টন অক্সিজেন মজুদ আছে। এছাড়া সরকারি হাসপাতালগুলোয় মজুদ আছে আরও ৪৫০ টন। জুন ও জুলাই মাসে আরও দুটি প্রতিষ্ঠান ৪০ টন করে অক্সিজেন সরবরাহ করবে।

ফলে এখন অক্সিজেন সঙ্কট হবে না বলে মনে করলেও দেশে সংক্রমণ অনেক বেশি বেড়ে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে কি না, সে বিষয়ে শঙ্কা আছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।

“দেশে তৃতীয় ঢেউ এলে, আর তা স্বাভাবিক মাত্রায় থাকলে মোকাবেলা করতে কোনো সমস্যা হবে না। তবে মাত্রা নিয়ন্ত্রণহীন হলে এবং মানুষ অস্বাভাবিকভাবে আক্রান্ত হলে বড় রকম সমস্যা হতে পারে।”

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খানের সভাপতিত্বে এ আলোচনা অনুষ্ঠানে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব আনোয়ার হোসেন খান, স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিপু মিয়া উপস্থিত ছিলেন।