বৃহস্পতিবার বিকালে এই জরিমানার সময় ঢাকা উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার বিপণি বিতানগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না, তা পরিদর্শনে কয়েকদিন ধরে বের হচ্ছেন তিনি।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে নানা বিধি-নিষেধ বজায় রেখেই স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে ঈদের আগে দোকান-পাট ও বিপণি বিতান খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার।
মেয়র আতিক বলেন, ‘লকডাউনের’ সময় দোকান-পাট খুলে দেওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে। কিন্তু আড়ংয়ের এই আউটলেটে তা মানা হচ্ছিল না।
“এখানে ধারণ ক্ষমতার চাইতে বেশি লোক ঢুকেছে। অনেকে বাচ্চা নিয়ে কেনাকাটা করতে আসছে। আজ আড়ংকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরপর যদি না মানে তাহলে আড়ং বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
ডিএনসিসির নির্বাহী হাকিম তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জরিমানা করেন আড়ংকে।
মেয়র আতিক সংক্রমণ এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান। না মানলে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
“যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জরিমানার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্র্যাক-আড়ংয়ের চিফ অপারেটিং অফিসার আশরাফুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের দিক থেকে আমরা সব ধরনের নিয়ম মেনেই আউটলেট খোলা রাখছি। কিন্তু বিকেলের দিকে ক্রাউড একটু বেশি ছিল। অনেকে বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে আসে, তাদেরকে কন্ট্রোল করা একটু কঠিন হয়ে যায়।”
“সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মেনটেইন করা যাচ্ছিল না। এ কারণে জরিমানা করেছেন। এছাড়া বাকি সব বিষয়ে মেয়র মহোদয় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন,” বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৫৩টি মামলা করেছে। এ সময় জরিমানা করা হয় ২ লাখ ৬২ হাজার ৭৫০ টাকা।