রাবি ভিসির বিদায়ের দিন তার অনিয়ম তদন্তে কমিটি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান উপাচার্য থাকাকালে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে কমিটি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2021, 02:59 PM
Updated : 6 May 2021, 02:59 PM

বৃহস্পতিবার এই কমিটি গঠনের দিনই দ্বিতীয় মেয়াদে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন শেষে বিদায় নেন অধ্যাপক সোবহান।

ছাত্রলীগ, চাকরি প্রত্যাশী ও শিক্ষক-কর্মচারীদের সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ পাহারায় ক্যাম্পাস ছাড়তে হয় তাকে।

এর মধ্যেই এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জনবল নিয়োগে অনিয়ম তদন্তে চার সদস্যে কমিটি গঠনের কথা জানায়।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীরকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ইউজিসির সদস্য ড. মো. আবু তাহের, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মো. জাকির হোসেন আখন্দ এবং ইউজিসির পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান।

কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

জরুরি অবস্থার সময় নিপীড়িত অধ্যাপক সোবহানকে ২০০৯ সালে উপাচার্য পদে নিয়োগ দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। ২০১৩ প পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

এরপর ২০১৭ সালের ৭ মে তিনি দ্বিতীয় বারের মতো উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান।  

এবার যাওয়ার আগে তিনি নিয়মবহির্ভূতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে জনবল নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে।

দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর গত ১০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সব নিয়োগ স্থগিত করে দেয়। সেই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই শেষ দিনে অস্থায়ী ভিত্তিতে ১৪০ জনকে নিয়োগ দিয়ে বিদায় নেন অধ্যাপক সোবহান।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে ইতোপূর্বে ইউজিসি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে। তদন্ত প্রতিবেদনে উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ কার্যক্রমসহ আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গত বছর ১০ ডিসেম্বর পত্রের মাধ্যমে প্রশাসনিক কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য উপাচার্যকে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু উপাচার্য বৃহস্পতিবার (৬ মে) তার মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিভিন্ন পদে অবৈধ ও বিধি বহির্ভূতভাবে জনবল নিয়োগ প্রদান করেছেন মর্মে মন্ত্রণালয় অবহিত হয়েছে।

“যার পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে তা অনভিপ্রেত। বিদায়ী উপাচার্য অবৈধ জনবল নিয়োগের বৈধতা প্রাপ্তির সুযোগ নেই বিধায় এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের কমিটি গঠন করা হলো।”

এই কমিটি গঠনের পর অন্য একটি আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়টি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহাকে উপাচার্যের ‘রুটিন’ দায়িত্ব দেওয়া হয়।