সোহরাওয়ার্দীতে ‘কিছু গাছ’ কাটা হয়েছে স্মৃতিকেন্দ্র গড়তে: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘আন্তর্জাতিক মানের স্মৃতিকেন্দ্র’ গড়ে তোলার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ‘কিছু গাছ’ কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2021, 10:04 AM
Updated : 6 May 2021, 10:04 AM

বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কিছু গাছ কাটা হলেও সেখানে আরও এক হাজার গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা নিয়ে ‘খণ্ডিত তথ্য’ প্রচার হয়েছে দাবি করে তাতে জনমনে ‘বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে’ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কেটে ‘রেস্তোরাঁ ও হাঁটার পথ’ নির্মাণ করা হচ্ছে অভিযোগ করে এর প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার মানববন্ধন করে তরুণ শিল্পী, চলচ্চিত্র নির্মাতাসহ একদল তরুণ।

সেখানে বলা হয়, ‘উন্নয়নের নামে’ এই মহামারীর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৫০ বছর বয়সী শতাধিক গাছ কেটে ফেলেছে গণপূর্ত বিভাগ। কাটার জন্য আরও কিছু গাছ চিহ্নিত করা হয়েছে।

টিএসসির কাছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে নোঙর বাংলাদশ, স্বাধীনতা উদ্যান সাংস্কৃতিক জোট, গ্রিন প্ল্যানেটের উদ্যোগে ওই মানববন্ধন হয়। সেখান ‘সৌন্দর্য বাড়ানোর নামে প্রকৃতি ধ্বংসের’ পরিকল্পনা বাতিলের দাবি জানানো হয়।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, গাছ কাটা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।

স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণের (৩য় পর্যায়) মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে জানিয়ে বলা হয়, “মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কিছু গাছ কর্তন করা হলেও প্রায় এক হাজার গাছ লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সম্প্রতি গাছ কাটার মধ্যে প্রবেশ পথের দেয়ালে কেউ লিখে রেখেছে ‘গাছ কাটা চলবে না’।

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণে আধুনিক নগর উপযোগী এবং সবুজের আবহে আন্তর্জাতিকমানের স্মৃতিকেন্দ্র গড়ে দেশি-বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে এই মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে।

সেখানে পাকিস্তানি শাসনবিরোধী ২৩ বছরের মুক্তিসংগ্রাম এবং নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বলিত ভাস্কর্য স্থাপন; ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের মত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ কাজ চলছে জানিয়ে একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।

এছাড়া পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থানে ভাস্কর্য স্থাপন, ইন্দিরা মঞ্চ নির্মাণ, ওয়াটার বডি ও ফাউন্টেইন নির্মাণ, ভূগর্ভস্থ ৫০০ গাড়ির পার্কিং ও শিশুপার্কসহ ‍বিভিন্ন নির্মাণ কাজ চলছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

সরকারের এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ‘দেশপ্রেমিক-সচেতন’ নাগরিকদের সমর্থন এবং সহযোগিতা কামনা করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।