প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে বুধবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বল্পন্নোত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতি, পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণে গত ২৬ এপ্রিল মুখ্য সচিব ড: আহমদ কায়কাউসের নেতৃত্বে ২২ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের এই কমিটি গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কমিটির প্রথম সভায় দেশের অর্থনীতি, আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতে বিশেষ করে তৈরি পোশাক ও ওষুধসহ রফতানিমুখী খাতে বিভিন্ন সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমীন সভায় একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা দেন।
কমিটি এক মাসের মধ্যে বিভিন্ন খাতে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলো সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. জাফর উদ্দিনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি সাব কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো.তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, “উপ-কমিটিকে খাতভিত্তিক চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করতে এবং এক মাসের মধ্যে একটি কার্য পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।”
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহায়তা হারাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রাজুয়েশন পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জন্য দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় উৎস থেকে শুল্কমুক্ত প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব আইনের ছাড় সুবিধাও ২০৩৩ সালের পর যে কোনো সময় সঙ্কুচিত হবে বলে তিনি জানান।
সভায় এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জগুলোর সম্পর্কে অভিমত ও মতামত জানতে দ্রুত বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞ ও একাডেমিশিয়ানদের সঙ্গে একটি বড় আকারের সেমিনার আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কমিটি প্রতিমাসে নিয়মিত একবার করে সভা করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজ, আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম, অর্থ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মু. রহমাতুল মুনিম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো.জাফর উদ্দীন, কৃষি মন্ত্রনালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো.মেসবাহুল ইসলাম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, শিল্পসচিব কেএম আলী আজম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শরিফা খানসহ কমিটির অন্যান্য সদস্য যুক্ত ছিলেন।