ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ বুধবার ভার্চুয়াল আদালতে শুনানি করে আখতারের জামিন নামঞ্জুর করেন।
আখতারকে গত ১৩ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স এনেক্স ভবনের আইন অনুষদের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঢাকা মেডিকেল থেকে ‘আসামি ছিনতাইয়ের’ মামলায় তাকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় আদালত।
সেই রিমান্ড শেষে ১৭ এপ্রিল আখতারকে হাকিম আদালতে হাজির করা হলে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর আখতারের পক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হয়। সেই আবেদনও নাকচ হয়ে গেল।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় গত ২৫ মার্চ মতিঝিলে মিছিল করে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে আবুল কালাম আজাদ নামে একজনকে আটক করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পুলিশ তাকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দিতে নিয়ে গেলে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের কর্মীরা তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
ওই ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা করেন পল্টন মডেল থানার এসআই রায়হান করিব। মামলায় ‘আসামি ছিনতাই’সহ পুলিশের ওপর ‘হামলা, মারধর ও হত্যাচেষ্টার’ পাশাপাশি বিস্ফোরক আইনেও অভিযোগ আনা হয়।
ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসনসহ ১১ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।