র্যাব-২ এর অধিনায়ক ইমরানুল্লাহ সরকার জানান, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে’ তাদের একটি দল মঙ্গলবার রাতে বসিলা ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. তারিকুল ইসলাম (২৩), মো. সিনবাদ (২৩), মিম মিয়া (২২), মো. ইমন (১৯) এবং মো. মনির (২৮)।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ওই চক্রের সদস্যরা কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকা এবং সমুদ্রপথে বাংলাদেশে আসা ইয়াবা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল। তবে তারা কক্সবাজার থেকে মাদকের চালান ঢাকায় আনার ক্ষেত্রে মহাসড়ক ব্যবহার করত না।
র্যাব-২ অধিনায়ক বলেন, ইজি বাইক, অটোরিকশা কিংবা টেম্পো ব্যবহার করে গ্রামের ভেতরের রাস্তা দিয়ে তারা কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে যাতায়াত করত। আর চট্টগ্রাম সিটি গেইটসহ বিভিন্ন জায়গায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট এড়াতে প্রথমে আনোয়ারা থেকে হাটহাজারী, মানিকছড়ি-গুইমারা হয়ে ফেনী আসত। সেখান থেকে নোয়াখালীর চৌমুহনী, সোনাইমুরী এবং চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ হয়ে মতলব লঞ্চঘাট পর্যন্ত আসত।
“এই দীর্ঘ সময় তারা বেদেদের মতই জীবন যাপন করত এবং সাধারণ মানুষের সন্দেহ থেকে দূরে থাকতে চুড়ি, কড়ি, চুলের ফিতা, শিশুদের কোমরে বাঁধার ঘণ্টা, চেইন, সেইফটি পিন, বাতের ব্যথার রাবার রিং বিক্রি করত।”
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ছদ্মবেশ ধারণের সরঞ্জাম, রান্নার হাড়ি-পাতিল, বালতি, বহনযোগ্য ডিসপ্লে র্যাক এবং বিভিন্ন ধরনের ইমিটেশনের গয়না উদ্ধারের কথা সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-২ এর অধিনায়ক ইমরানুল্লাহ সরকার।