বুধবার বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি সংলগ্ন ফটকে নোঙর বাংলাদশ, স্বাধীনতা উদ্যান সাংস্কৃতিক জোট, গ্রিন প্ল্যানেটের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বনফুল নামের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতামূলক গানও গেয়ে শোনায়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সৌন্দর্য বাড়ানো সরকারের গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রকল্পে হাঁটার পথ, গাড়ি রাখার স্থান ও রেস্তোরাঁ বানাতে বেশ কিছু গাছ কাটা পড়ছে। কিছু গাছ এরই মধ্যে কাটা হয়ে গেছে, আর কাটার জন্য কিছু গাছ চিহ্নিত করা হয়েছে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা সৌন্দর্য বাড়ানোর নামে প্রকৃতি ধ্বংসের এই পরিকল্পনা বাতিলের জন্য সরকারের কাছ দাবি জানিয়েছে।
মানববন্ধনে ‘আইনের পাঠশালা' সংগঠনের সভাপতি আইনজীবী সুব্রত কুমার দাস বলেন, “সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের পীঠস্থান। এখানে জাতির পিতা
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছেন। কিন্তু উন্নয়নের নামে এই মহামারীর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৫০ বছর বয়সী শতাধিক গাছ রাতারাতি কেটে ফেলেছে গণপূর্ত বিভাগ।
“এখানে খাবারের দোকান বানানোর নামে প্রকৃতি হত্যার একটা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কর্পোরেট সংস্কৃতির বিকাশ ঘটছে। যার মূলে রয়েছে লুটপাটের অশুভ উদ্দেশ্য। অবিলম্বে এই প্রকৃতি হত্যার প্রকল্প বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।”
ঈদের আগে এই প্রকল্প বাতিল করা না হলে এরপর পরিবেশবাদীদের নিয়ে জোরদার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
নাট্য নির্মাতা সুদীপ সজীব বলেন, “যেখানে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে প্রকৃতি বাঁচিয়ে রেখে অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়, সেখানে আমাদের দেশে গাছ কেটে হাঁটার পথ, খাবারের দোকান বানানো হচ্ছে!”
তিনি এই গাছ কাটা বন্ধের পাশাপাশি আগামী বর্ষায় কমপক্ষে ১০ হাজার গাছ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রোপণের দাবি জানান।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে চলচ্চিত্র নির্মাতা ফয়সাল ইবনে মিজান, সংগীত শিল্পী শিশির চৌধুরী এবং নাট্যকর্মী অনন্যা জামান নিশি বক্তব্য দেন।