রোববার রাতে উত্তর বাড্ডা থেকে গ্রেপ্তার এই ব্যক্তিদের মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি চায় পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই শফিউদ্দিন মিয়ার আবেদনে সাড়া দিয়ে হাকিম মইনুল ইসলাম প্রত্যেক আসামির তিন দিন রিমান্ডের আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- ইসমাইল হোসেন ওরফে সুমন, আবুল বাশার রুবেল, আরমান পিয়াস, রায়হান আলম সিদ্দিকি, মো. জোবায়ের, মেহেদী হাসান রাহাত, মেহেদী হাসান, রাকিবুল হাসান, রাকিবুল ইসলাম, সোলাইমান ইসলাম, মো. জাকারিয়া ও আরাফাত হোসেন।
আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মাজহারুল ইসলাম বলেন, “রিমান্ড শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, অভিযুক্তরা নিজেদের বিদেশি বলে পরিচয় দিয়ে মালয়েশিয়া, পাকস্তানসহ বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে এ ব্যবসা চালাত। আরও তথ্য পাওয়ার জন্য তাদের রিমান্ডে নেওয়া জরুরি।”
ওই ১২ জনকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব বলেছিল, ইসমাইল হোসেন সুমন এই চক্রের ‘হোতা’।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী সুমন ‘বেসিক বিজ মার্কেটিং’ নামের অনলাইন আউটসোর্সিং কোম্পানি খুলে তার আড়ালে অবৈধ বিটকয়েন লেনদেন করে আসছিলেন বলে র্যাবের দাবি।
র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেছিলেন, ঢাকায় সুমনের দুটি ফ্ল্যাট, প্লট, সুপার শপের ব্যবসা আছে, যা হয়েছে এই অবৈধ ব্যবসায়।