সোমবার এই নৌ দুর্ঘটনার পর বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নে এই দাবি করেন।
সকাল ৭টার দিকে স্পিডবোটটি শিবচরে পদ্মা নদীতে বালুবাহী নৌযানের সঙ্গে ধাক্কা লাগিয়ে উল্টে ডুবে যায়।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পদ্মার ওপারে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে আসছিল স্পিডবোটটি।
লকডাউনের মধ্যে তা কীভাবে হল- এই প্রশ্নে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান বলেন, “শিমুলিয়া ঘাট তো তালা মারা। ওই ঘাট দিয়ে কোনো নৌযান চলাচল করছে না। লঞ্চগুলোও ঘাটে নোঙর করা।”
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধের লকডাউনে গত ৫ এপ্রিল থেকেই সারাদেশে নৌচলাচল বন্ধ। তার মধ্যেও শিমুলিয়া ঘাট থেকে স্পিডবোট চলতে দেখা গেছে। ১৪ এপ্রিল থেকে চলছে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’, যা এখনও চলছে।
গোলাম সাদিক বলেন, স্পিডবোটটির চালক চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ‘গোপনে’ যাত্রী তুলে পারাপার করছিল।
স্পিডবোটটি অবৈধ কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবৈধ নয়। এটির চলাচলের অনুমতি ছিল।
জরুরি প্রয়োজনে মানুষকে পারাপার হতে হলে ফেরি ব্যবহারের অনুরোধ জানান কমডোর গোলাম সাদেক।
এই নৌদুর্ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
পদ্মা পারাপারে থাকা স্পিডবোটগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান।