সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম ভার্চুয়াল সংবাদ বুলেটিনে এ কথা বলেন।
তিনি জানান, ভারত ফেরতদের মধ্যে যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের নমুনা জেনোম সিকোয়েন্সের জন্য পাঠানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, “যাদের পজিটিভ পাচ্ছি তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য একটু সময় লাগে।”
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত কয়েকদিন ধরে ভারতের অবস্থা বিপর্যস্ত। প্রতিদিন রেকর্ড পরিমাণ আক্রান্তের খবর আসছে। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। হাসপাতালে ঠাঁই নেই বললেই চলে। অক্সিজেনের অভাবে চারদিকে হাহাকার।
মাত্র দুই মাসের মধ্যে ভারতের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি চূড়ান্ত রকমের নাজুক হয়ে পড়েছে। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানী ও গবেষকরা নতুন একটি ধরনের (স্টেইন) কথা বলছেন।
এই ধরনটি ‘মারাত্মক’ বলেও খবরে উঠে এসেছে। সেখান সংক্রমণ বাড়লে সরকার ভারতের সঙ্গে স্থল বন্দর দিয়ে চলাচলও বন্ধ করে দিয়েছে। বিশেষ অনুমতি নিয়ে অনেকে দেশে আসতে পারছেন। তাদের বাধ্যতামূলকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে।
প্রতিবেশি বাংলাদেশেও এই ধরনটি ঢুকে পড়েছে কিনা তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন।
এদিকে প্রথম ডোজ নিয়ে দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষারত ব্যক্তিরা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা না পেলে কি করবেন জানতে চাইলে ডা. নাজমুল বলেন, “এ ব্যাপারে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো এখনও নির্দিষ্ট করে কোনো পরামর্শ দেয়নি। প্রথম টিকা যে কোম্পানির নেওয়া হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজও সেই কোম্পানির নিতে হবে।
“এক্ষেত্রে আমরা ১২ সপ্তাহ অপেক্ষা করবো। ভ্যাকসিন নিয়ে সারা বিশ্বে এক ধরনের ডিপ্লোম্যাসি আছে, এক ধরনের রাজনীতি আছে। তারপরও মানবতার চূড়ান্ত জয়গান যেন হয়। আমরা এ পর্যন্ত দেখেছি, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সাফল্য পেয়েছে। যে কারণে আস্থা রাখতে চাই, আমরা ভ্যাকসিন পেয়ে যাব। তাহলে আমরা দ্বিতীয় ডোজটিও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে শেষ করতে পারবো।”
তিনি জানান, দেশে টিকার মজুদ শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। সরকারি হিসাবে, আরো টিকা আছে ১৪ লাখ ৪৪ হাজার ৫০ ডোজ। রোববার পর্যন্ত ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭০৯ জন প্রথম ডোজ পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ২৯ লাখ ৩৬ হাজার ২৪১ জন।
এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র।
তিনি বলেন, “আশা করছি, এ মাসেই চীনের ভ্যাকসিন আসবে। টিকা আসতে দেরি হোক বা যাই হোক না কেন, যতক্ষণ টিকা হাতে না আসছে মাস্ক হলো সবচেয়ে বড় টিকা। এটি সহজলভ্য, আমরা সবাই নিয়ম মেনে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেটি ব্যবহার করি।”
আরও পড়ুন