রোববার রাতে এক পশলা এই বৃষ্টিতে নাগরিক জীবনে কিছুটা ‘স্বস্তি’ এনেছে।
তবে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকায় রাজধানীর অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় কিছুটা ভোগান্তিও পোহাতে হয়েছে।
রাতে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হলেও রোববারও ঢাকা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, মাইজদীকোর্ট, ফেনী, পাবনা, পটুয়াখালী ও খেপুপাড়া অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ছিল ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে নিকলীতে ৭৫ মিলিমিটার।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, রাত সাড়ে নয় টার পরে ঢাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হয়েছে। এ সময় আগারগাঁও এলাকায় অন্তত ৪৬ কিলোমিটার/ঘন্টা বেগ ছিল ঝড়ো হাওয়ার। তবে ঢাকার দক্ষিণ দিকে বিশেষ করে কেরানীগঞ্জ ও আশপাশ এলাকায় কালবৈশাখীর বেগ ছিল আরও বেশি।
কালবৈশাখীর এই মৌসুমে বিকাল-রাতে বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা থাকবে বলে জানান তিনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, নওগাঁম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, ঝিনাইদহ, যশোর, কুষ্টিয়া, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ এলাকায় বৃষ্টি কিংবা বজ্রবৃষ্টি হয়েছে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে ।
“এখন ঝড়বৃষ্টি থাকবে। অসহনীয় গরমও কমে আসবে। আগামী ৮-১০ দিন কালবৈশাখী ও বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে। তবে মে মাসের মাঝামাঝির পর ফের গরমের দাপট বাড়বে” বলেন এই আবহাওয়াবিদ।