চলতি মাসে কালবৈশাখী ঝড়ও হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
এতে মে মাসে স্বাভাবিকের চাইতে কিছুটা কম বৃষ্টিপাতের শঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে।
রোববার মে মাসের দীর্ঘ মেয়াদী পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়।
অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে ১-২ টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরমধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
দেশের পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং সারাদেশে ১টি থেকে ২টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
তিনি জানান, এ মাসে দেশের উত্তর মধ্যাঞ্চলে ২-৩ দিন বজ্রসহ বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় এবং অন্যত্র ৫-৭ দিন শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী হতে পারে।
তবে উত্তরাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে স্বল্প মেয়াদী আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আভাসও রয়েছে।
তাপপ্রবাহ অব্যাহত
বৈশাখের এই মৌসুমে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা বেড়েছে।
সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহও।
রোববার ঢাকা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, মাইজদীকোর্ট, ফেনী, পাবনা, পটুয়াখালী ও খেপুপাড়া অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে নিকলীতে ৭৫ মিলিমিটার।
সোমবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা,চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে ।
এপ্রিলে চার দফা তাপপ্রবাহ
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, এপ্রিল মাসে দেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।
পশ্চিমা ও পূবালী লঘুচাপের প্রভাব কম থাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৭৯% কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।
কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় গরমের অনুভূতিও ছিল বেশি।
২০ ও ২৫ এপ্রিল রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।
গত মাসে চার দফা তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। এরমধ্যে ১-৪ এপ্রিল, ১০-১৬ এপ্রিল, ১৯-২১ এপ্রিল ও ২৩-৩০ এপ্রিল দেশের সব বিবভাগে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।
এ সময় যশোরে ২৫ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গেল ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন