করোনাভাইরাস: জামিন, অন্তর্বর্তী আদেশের মেয়াদ বাড়ল ৪ সপ্তাহ

করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতিতে জামিন ও আদালতের সব ধরনের অন্তর্বর্তী আদেশের কার্যকারিতা আরও চার সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 May 2021, 10:19 AM
Updated : 2 May 2021, 10:19 AM

প্রধান বিচারপতির আদেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন রোববার এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে।

এ নিয়ে জামিন ও আদালতের সব ধরনের অন্তর্বর্তী আদেশের কার্যকারিতা তিন দফা বাড়ানো হল।

এর আগে ১৮ এপ্রিল দুই সপ্তাহ এবং তারও আগে ৪ এপ্রিল দুই সপ্তাহের জন্য সময় বাড়ানো হয়েছিল।

রোববারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “যে সকল মামলায় আসামিকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জামিন প্রদান করা হয়েছে বা যে সকল মামলায় উচ্চ আদালত হতে অধস্তন আদালতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণের শর্তে জামিন প্রদান করা হয়েছে বা যে সকল মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অন্তবর্তীকালীন আদেশ প্রদান করা হয়েছে, সে সকল মামলার জামিন এবং সকল প্রকার অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসমূহের কার্যকারিতা গত ১৮ এপ্রিলের বিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় আগামী চার সপ্তাহ পর্যন্ত বর্ধিত হয়েছে মর্মে গণ্য হবে।“

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ সামাল দিতে সরকার প্রথম দফায় ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

ওইদিন রাতেই সীমিত পরিসরে দেশের আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত আসে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছ থেকে।

গত ৫ এপ্রিল রাতে এ সংক্রান্ত আলাদা তিনটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

এর আগে গত বছর মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের সব আদালতেও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ওই সময় দেশের বিচার ব্যবস্থা কার্যত বন্ধ ছিল।

পরে সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধে মামলার বিচার, বিচারিক অনুসন্ধান, দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, সাক্ষ্য বা যুক্তিতর্ক গ্রহণ, আদেশ বা রায় দিতে পক্ষদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে আদালতকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা দিয়ে গত বছর ৯ মে অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

এরপর ১০ মে সুপ্রিম কোর্ট ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘প্র্যাকটিস’ নির্দেশনা জারি করে। পরদিন দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে প্রথম ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি কমতে থাকলে প্রথমে কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরীক উপস্থিতিতে নিম্ন আদালত চালু করা হয়।

এক পর্যায়ে শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে হাই কোর্টেও চালু করা হয় কয়েকটি বেঞ্চ। পাশাপাশি ভার্চুয়াল আদালতও চালু থাকে।

তবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত অর্থাৎ আপিল বিভাগ এবং চেম্বার আদালত এখন পর্যন্ত ভার্চুয়াল মাধ্যমে চলছে।