বাংলাদেশের প্রস্তাবে ২৫ জুলাই হল ‘পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ’ দিবস

বাংলাদেশের প্রস্তাবে ২৫ জুলাই আন্তর্জাতিকভাবে ‘পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ’ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 April 2021, 10:10 AM
Updated : 29 April 2021, 10:10 AM

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, ‘পানিতে ডুবে মৃত্যু’ ঠেকাতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়। পানিতে ডুবে মৃত্যুকে ‘নীরব মহামারী’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রতি বছর ২৫ জুলাই আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাংলাদেশের প্রস্তাবটি গ্রহণ করে বলা হয়, পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি এবং জাতীয় পদক্ষেপকে উৎসাহিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, “আমরা বিশ্বব্যাপী শিশু মৃত্যুর হার কমাতে সক্ষম হয়েছি, আমরা যদি পানিতে ডুবে মৃত্যুহার শূন্যের কোঠায় না আনতে পারি, তাহলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের সাফল্য, অর্থাৎ এসডিজি-৩ অর্জন অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।”

বিশ্বে পানিতে ডুবে মৃত্যুর ৯০ শতাংশই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটে এবং এশিয়ায় এই হার সবচেয়ে বেশি জানিয়ে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, “পানিতে ডুবে মৃত্যু কেবল দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি বৈষম্য।”

তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১৮ হাজার মানুষ পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে। আর যাতে কোনো মূল্যবান জীবনের পানিতে ডুবে মৃত্যু না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে শেখ হাসিনা সরকার।

পানিতে ডুবে মৃত্যু দরিদ্র পরিবারকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে জানিয়ে তা ঠেকাতে নেওয়া পদক্ষেপ এসডিজি-১ সহ আরও কয়েকটি এসডিজি অর্জনে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর দুই লাখ ৩৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় পানিতে ডুবে। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে এটা শিশু মৃত্যু, বিশেষ করে ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর প্রধাণ কারণ।

জাতিসংঘের প্রস্তাবে পানিতে ডুবে মৃত্যু ঠেকাতে এ পদক্ষেপটির সাথে টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত বৈশ্বিক কাঠামোগুলোর সংযোগের কথাও বলা হয়েছে।