নাশকতায় ‘মদদ’: হেফাজতের সেই হারুন ইজহার গ্রেপ্তার

হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতি হারুন ইজহারকে ‘নাশকতায় মদদ’ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকও চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 April 2021, 09:11 AM
Updated : 29 April 2021, 09:41 AM

বুধবার গভীর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফট্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

তিনি বলেন, “স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর ঘিরে দেশের বিভিন্নস্থানে যে নাশকতা হয়েছে, তাতে প্রত্যক্ষভাবে মদদ দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

হারুন ইজহার বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর বড় ছেলে এবং চট্টগ্রামের লালখান বাজারের জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক।

ওই মাদ্রাসা থেকেই হারুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তার ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ ওসমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

হারুনের বাবা মুফতি ইজহার চট্টগ্রামের ওই মাদ্রাসার পরিচালক। তিনি এক সময় হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ছিলেন ।

২০০৯ সালের নভেম্বরে ওই মাদ্রাসার পেছনের পাহাড় থেকে লস্কর ই তৈয়বার সন্দেহভাজন দুই বিদেশি জঙ্গিসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন হারুন। ঢাকায় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হামলা পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে। 

পরে ২০১৩ সালে ওই মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে বড় ধরনের বিস্ফোরণে দুইজনের মৃত্যু হয়। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাজা গ্রেনেডসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় খুলশী থানায় বিস্ফোরক ও এসিড আইনে দুটি মামলা হয়, যাতে মুফতি ইজাহার ও তার ছেলের হারুনকে আসামি করা হয়।

ওই ঘটনায় চট্টগ্রামে বিস্ফোরক ও এসিড আইনে দুটি মামলা হয়, যাতে মুফতি ইজাহার ও তার ছেলে হারুনকে আসামি করা হয়। পরে হারুনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ।

মুফতি হারুনের জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়ে এক প্রশ্নে র‌্যাব-৭ অধিনায়ক মশিউর রহমান জুয়েল বলেন, “তিনি কোনো জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

পুরনো খবর