স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে মামলা করা যাবে আদালতে

করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান ‘লকডাউনের’ মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে অধস্তন দেওয়ানী আদালত ও মুখ্য বিচারিক হাকিম বা মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2021, 01:27 PM
Updated : 28 April 2021, 02:33 PM

এক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ২০০ ধারার অধীনে বাদী ও সাক্ষীর (থাকলে) জবানবন্দি নিতে সংশ্লিষ্ট বিচারিক হাকিমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা এসেছে।

তবে দেশের অধস্তন দেওয়ানী, ফৌজদারী আদালত ও ট্রাইব্যুনালগুলোতে অতি জরুরি দরখাস্তের শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য আদালতের কাজ ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে করতে আগের নির্দেশনাই থাকছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে অধস্তন দেওয়ানী আদালতসমূহ এবং চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এর অধীনস্থ আদালতসমূহে মামলা দায়ের করা যাবে।”

দায়েরকৃত মামলায় সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট শারীরিক উপস্থিতিতে ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ২০০ ধারার অধীনে জবানবন্দি গ্রহণ করবেন।”

এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে বলে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশে বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর।

এদিকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১১ কার্যদিবসে সারাদেশে অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে ৩৬ হাজার ২৪০টি মামলায় ২০ হাজার ৩৯ জনের ব্যক্তির জামিন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান।  

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার রোধে গত ১২ এপ্রিল থেকে পুনরায় সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্ত শুনানি হচ্ছে।

এর মধ্যে মঙ্গলবার অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে ২৭২৮টি জামিন আবেদন ও দরখাস্তের নিষ্পত্তি করে ১৩৯৫ জন কারাবন্দি জামিন পেয়ে মুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে মোট ১১ কার্যদিবসে ৩৬ হাজার ২৪০টি মামলায় ২০ হাজার ৩৯ জন কারাবন্দি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

“এই সময়ে শিশু আদালতে ৩৬৫ আবেদনের শুনানি করে ২৪৬ শিশুকে জামিন দেওয়া হয়েছে।”