মামুনুলের ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি টাকা লেনদেন: পুলিশ

হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সংগঠনটির ৩১৩ জন দাতার তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2021, 05:27 PM
Updated : 27 April 2021, 05:59 PM

সংগঠনটির সদ্য সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ব্যাংক হিসাবেও ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য মিলেছে বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

হেফাজতের সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় অর্ধ শতাধিক মামলার পর তার তদন্তে নামা গোয়েন্দা পুলিশ মামুনুলকে গ্রেপ্তার করে। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আকতার মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডটকমকে বলেন, “কওমি মাদ্রাসার একটি অলিখিত নিয়ম রয়েছে বেজোড় সংখ্যক স্থায়ী ডোনার হওয়া। সে হিসাবে ৩১৩ জনের একটি তালিকার সন্ধান মিলেছে।”

এসব স্থায়ী দাতা কারা, তাদের উদ্দেশ্য কী, সে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

গোয়েন্দা পুলিশ এর আগে বলেছিল, হেফাজতে ইসলাম নাশকতার মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র করেছিল। আর সংগঠনটিতে বিদেশ থেকেও অর্থ আসত।

মামুনুলের একাধিক ব্যাংক হিসাবের খোঁজ পাওয়ার কথাও জানান অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আকতার।

তিনি বলেন, “আমরা (মামুনুল হক) ছয় কোটি টাকার লেনদেনের হিসাব পেয়েছি। বর্তমানে তার ব্যাংকে গচ্ছিত আছে ৪৭ লাখ টাকার মতো।”

মামুনুলের দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্ধান

মামুনুল যে নারীকে নিয়ে সোনারগাঁও রিসোর্টে গিয়েছিলেন, সেই জান্নাত আরা ঝর্ণাকে রাজধানীর বছিলার একটি ফ্ল্যাট থেকে গোয়েন্দা পুলিশ মঙ্গলবার বিকালে উদ্ধার করেছে।

মামুনুল এই নারীকে বিয়ে করলেও তা নিবন্ধন করেননি বলে পুলিশ ইতোপূর্বে জানিয়েছিল।

গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঝর্ণাকে আমরা বছিলার একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করি। ওই ফ্ল্যাটে আরো কয়েকজন মহিলার সাথে সে ছিল। ”

তিনি বলেন, “সোনারগাঁও থেকে উদ্ধারের পর তাকে বছিলায় একটি বাসায় আনা হয়। এই বাসা নিয়ে চারটি বাসা বদল করেছে বলে সে (ঝর্ণা) জানিয়েছে।”

‘প্রয়োজনীয়’ তথ্য সংগ্রহের পর ঝর্ণাকে তার বাবার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঝর্ণার বাবা ওলিয়র রহমান তার মেয়ের সন্ধান চেয়ে সোমবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

“জিডিতে তিনি বলেছেন, তার নাতির মুখে শুনেছেন যে তার মাকে সে পাচ্ছে না। তার মা তাকে দুই দিন আগে ফোন করে  জানিয়েছে যে সে গৃহবন্দি আছে।”

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঝর্ণার সংসার ভেঙে মামুনুল তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করেছিলেন বলে জিডিতে অভিযোগ করেন ওলিয়র।