অক্সিজেনের সংকট হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাসের যে পরিমাণ রোগী আছে তাতে অক্সিজেনের সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2021, 11:37 AM
Updated : 27 April 2021, 11:50 AM

সোমবার মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, হাসপাতালগুলোতে যে পরিমাণ রোগী আছে তাতে অক্সিজেনের সমস্যা হবে না। রোগী কমে যাওয়ায় অক্সিজেনের চাহিদাও কমে গেছে। রোগী যাতে না বাড়ে, সেভাবেই চলতে হবে।

“রোগী বেড়ে গেলে সঙ্কট তৈরি হবে। রোগী যদি সাত হাজারের জায়গায় একুশ হাজার হয় তাহলে সঙ্কট হবে। যে কোনো দেশেই সঙ্কট হবে। আমেরিকাতে হয়েছে, ইউরোপে হয়েছে, ভারতের পরিস্থিতি তো আপনারা দেখছেনই।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে দৈনিক লিকুইড অক্সিজেনের উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ১৫০ টনের মতো। এছাড়া সরবরাহ লাইনের গ্যাস থেকে অক্সিজেন উৎপাদন হয় ২০০ টনের মতো। দেশের হাসপাতালগুলোয় দৈনিক একশ থেকে দেড়শো টন অক্সিজেন লাগছে।

“আমরা ভালো পজিশনে আছি। অতিরিক্ত যদি কিছু না হয় তাহলে অক্সিজেনের সমস্যা হবে না। যে অক্সিজেন অন্যান্য শিল্প কারখানায় দিত ৪০ টন সেটাও আমরা আমাদের জন্য বুকিং দিয়ে রেখেছি। কখনও যদি প্রয়োজন পড়ে আমরা সেই ৪০ টনও নিয়ে নেব। আমরা আমাদের রোগীদের জন্য ব্যবহার করব।”

করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর ভারত থেকে দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ টন লিকুইড অক্সিজেন আনা হতো। ভারতে সম্প্রতি অক্সিজেনের মারাত্মক সংকট দেখা দেওয়ায় সেখান থেকে আসা বন্ধ রয়েছে। তবে এতে কোনো সমস্যা দেখছেন না স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সাধারণত বাংলাদেশের ভারত থেকে অক্সিজেন আনার দরকার হয় না জানিয়ে তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসের সময় ৪০-৫০ টন করে দৈনিক আমদানি করেছি। গত কয়েকদিন ভারত অক্সিজেন দেওয়া বন্ধ করে দিলেও আমরা চলতে পারছি। আমরা গ্যাস অক্সিজেনও ব্যবহার করছি।

“আমরা প্ল্যান করেছি, আমাদের লোকাল লিকুইড অক্সিজেন যারা তৈরি করে তাদের সবটা আমরা নিয়ে আমাদের হাসপাতালগুলোকে দিব যেখানে লিকুইড অক্সিজেনের প্রয়োজন আছে।”