কোভিড-১৯: ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালও ‘প্রস্তুত’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মহানগর জেনারেল হাসপাতালে ‘শিগগিরই’ আবার করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা শুরু হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2021, 03:44 PM
Updated : 22 April 2021, 03:44 PM

কিছু প্রস্তুতি শেষে আগামী ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এ হাসপাতালে রোগী ভর্তি শুরু করা যাবে বলে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকা জেনারেল হাসপাতালের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম পেতে দেরি হওয়ায় এ হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম আগে শুরু করা যায়নি।

“করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর প্রথমবার যে চিকিৎসক দেওয়া হয়েছিল, তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পাঁচটি আইসিইউ শয্যা দিতে দেরি হয়েছে। আনুষঙ্গিক যে সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন সেগুলো আমরা সময়মত পাইনি।”

মেয়র জানান, এ বছর সংক্রমণ বাড়তে শুরু করার পর এ হাসপাতালে আবার কোভিড সেবা শুরু করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

“আমরা আশা করছি, এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এখানে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা যাবে। এখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট, আইসিইউর জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক লাগবে। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে কথা বলছি। আশা করছি দ্রুতই প্রয়োজনীয় সব পাব।”

ঢাকা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রকাশ রায় জানান, ‘কোভিড ডেডিকেটেড’ হাসপাতাল হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৫৬ জন চিকিৎসক এবং ৬০ জন নার্স চেয়েছেন তারা। ইতোমধ্যে ১৬ জন চিকিৎসক এবং ২২ জন নার্স কাজে যোগ দিয়েছেন।

“আগামী রোববারের মধ্যে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে বলে আজ জানানো হয়েছে। আশা করছি, আমরা দ্রুতই নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বিশেষজ্ঞ ও মেডিকেল স্পেশালিস্ট পেয়ে যাব। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এখানে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা যাবে।”

ডা. প্রকাশ রায় জানান, কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসায় প্রাথমিকভাবে ভেন্টিলেটরসহ পাঁচটি আইসিইউ শয্যা, ৩০টি হাই ফ্লো নেইজল ক্যানুলাসহ শয্যা এবং ৭৫টি আইসোলেশন শয্যা নিয়ে কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদও মেয়রের সঙ্গে ছিলেন।

গতবছর মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর ঢাকার যেসব হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়েছিল, তার মধ্যে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালও ছিল।

সংক্রমণ কমে এলে গত বছরের অগাস্টে ১২টি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবকে চিঠি দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল ওই তালিকায় ছিল।

এ বছরের শুরুতে সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করলে গত ২২ মার্চ মহানগর জেনারেল হাসপাতালসহ পাঁচটি হাসপাতালকে সেবার জন্য প্রস্তুত করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মহাখালীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কোভিড হাসপাতালে গত ১৮ এপ্রিল রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। সেখানে ২১২টি আইসিইউ আছে; এইচডিইউতে আছে প্রায় আড়াইশ বেড।