জরুরি এনআইডি সেবা সচল থাকবে

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান লকডাউনের মধ্যে বিদেশ যাত্রী, শিক্ষার্থী ও হজযাত্রীসহ জরুরি কাজে এনআইডি সেবা চালু রাখা হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2021, 04:37 PM
Updated : 21 April 2021, 04:37 PM

বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, চার নির্বাচন কমিশনারের উপস্থিতিতে ইসি সচিবালয় ও মাঠ কর্মকর্তাদের মত বিনিময় সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সভার বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কয়েকটি জরুরি সেবা চালু রাখার জন্য এ সভায় বলা হয়েছে। বিশেষ করে সপ্তাহে অন্তত একদিন সংশ্লিষ্ট সেবা দিতে হবে।

“এনআইডি সেবার কাজ অনলাইনে চলছে। সেই সঙ্গে চলমান পরিস্থিতিতে বিদেশ গমনেচ্ছু শিক্ষার্থী, হজযাত্রী, টিকা নিতে আগ্রহী, জরুরি পাসপোর্ট সংগ্রহ ও রোগীসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরি কাজের বিষয়টি বিবেচনায় এনআইডি নিবন্ধন, ছবি তোলা বা আইরিশ নেওয়ার কাজ করার প্রয়োজন হতে পারে,” বলেন এই কর্মকর্তা।

তিনি জানান, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এনআইডি সেবা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

বুধবারের ভার্চুয়াল সভায় ইসি সচিবের সভাপতিত্বে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক, প্রকল্প পরিচালক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ এপ্রিল থেকে চলমান সর্বাত্মক লকডাউন শুরুর এক সপ্তাহ পর এই ভার্চুয়াল বৈঠক হয়।

অতিরিক্ত সচিব জানান, মহামারীর মধ্যে ইসি সচিবালয় ও মাঠ কর্মকর্তাদের খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি অন্তত সাত জন কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে ১ এপ্রিল  সব ধরনের নির্বাচন (১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য) স্থগিত করে ইসি।

মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার জনসমাগম এড়াতে প্রথমে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। পরে এ নিষেধাজ্ঞা আরও দুই দিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। তবে সে সময় সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন চালু ছিল।

এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সব ধরনের অফিস ও পরিবহন বন্ধের পাশাপাশি বাজার-মার্কেট, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তবে উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়।

লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকে লেনদেন করা যাচ্ছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

সতর্কতার অংশ হিসেবে সীমিত জনবল দিয়ে বিভিন্ন শাখা চালু রেখেছে ব্যাংকগুলো।