নাশকতা: ‘শিশু বক্তা’ মাদানী ৪ দিনের রিমান্ডে

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় মতিঝিল থানার নাশকতার মামলায় ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে হেফাজতে নিয়ে চার দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2021, 02:49 PM
Updated : 21 April 2021, 02:49 PM

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ড চাইলেও বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান চার দিন মঞ্জুর করেন।

এসময় কাশিমপুর কারাগারে বন্দি মাদানীকে ভিডিওর মাধ্যমে ভার্চুয়ালি   এজলাসে হাজির দেখানো হয়। তার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন না। রিমান্ড আবেদনের বিষয়ে কিছু বলার আছে কিনা বিচারক তাকে জিজ্ঞাসা করেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার জাফর হোসেন এসব তথ্য জানান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমন ঘিরে ২৫ মার্চ ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের একটি মিছিল রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকায় শুরু হয়।

এতে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি মতিঝিলে যাওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় রফিকুল ইসলামকে পুলিশ আটক করে পরে আবার ছেড়ে দেয়। ওই  ঘটনায় পরের দিন দিবাগত রাতে মতিঝিল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।

৭ এপ্রিল মাদানীকে তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে আটক করে র‌্যাব। পরের দিন গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করে র‌্যাব তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

গাজীপুরের পর ঢাকার মতিঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়। ৮ এপ্রিল আদনান শান্ত নামের এক ব্যক্তি মামলাটি করেন।

এরপর মাদানীর বিরুদ্ধে গাজীপুরের বাসন থানায় আরও একটি মামলা হয়। তার বিরুদ্ধে মারাত্মক মিথ্যা, ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার মতো অপরাধে সহায়তার অভিযোগ এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন গাজীপুরের টেকনাগপাড়া এলাকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

এর মধ্যে গাজীপুরের গাছা থানায় করা র‌্যাবের মামলায় গত ১৫ এপ্রিল মাদানীর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুরে করেন গাজীপুর জ্যেষ্ঠ বিচারিক  আদালত।

আর মতিঝিলে নাশকতার মামলায় বুধবার তাকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ এল।