ভোট না হওয়া পর্যন্ত ইউপির জনপ্রতিনিধিরা বহাল

ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম ধাপের ভোট আটকে থাকায় বিদ্যমান চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যরাই পরিষদের দায়িত্বে থাকছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2021, 05:42 PM
Updated : 20 April 2021, 05:42 PM

সাড়ে চার হাজার ইউপির ভোট কয়েকটি ধাপে শেষ করার কথা। ১১ এপ্রিল ৩৭১ ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা ছিল।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় ভোটের ১০ দিন আগে স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

এ পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর ইসি ৮ এপ্রিল জানিয়েছে, করোনাভাইরাস  সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতির কারণে জনসমাগম এড়ানোর লক্ষ্যে ১১ এপ্রিলের অনুষ্ঠিতব্য ইউপিসহ কিছু স্থানীয় সরকারের নির্বাচন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পযন্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 “ফলে স্থানীয় সরকার ইউপি আইন, ২০০৯  এর ২৯ (৩) ধারা অনুসারে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে আইনের ২৯ (৫) ধারা অনুযায়ী পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া লক্ষ্যে ইসি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।”

ইউপি নির্বাচনে স্বপদে থেকে নির্বাচন করছে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যরা।

২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনে ২৯ ধারায় পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কার্যকাল বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রথম সভা অনুষ্ঠানের তারিখ হতে পাঁচ বছর মেয়াদ থাকবে পরিষদের।

পরিষদ গঠনের জন্য কোনো সাধারণ নির্বাচন ওই পরিষদের জন্য অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী সাধারণ নির্বাচনের তারিখ হতে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

 ২৯ (৫) ধারায় বলা হয়েছে, দৈব-দুর্বিপাকজনিত বা অন্য কোনো কারণে নির্ধারিত ৫ বছর মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কিংবা অনধিক ৯০ দিন পর্যন্ত যা আগে ঘটবে, সংশ্লিষ্ট পরিষদকে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্ষমতা দিতে পারে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ সম্প্রতি গণমাধ্যমকে জানান, ইসির চিঠি পাওয়ার এ আইন অনুযায়ী এ সংক্রান্ত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে ইউপি নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান চেয়ারম্যান-সদস্যরাই ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকবেন।

ভোট স্থগিতের পর ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের জানান, পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ না হওয়া পর্যন্ত এসব ভোট হবে না। দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হলে নির্বাচন যে অবস্থায় বন্ধ হয়েছিল, সেখান থেকে ভোটের প্রক্রিয়া আবার শুরু করা হবে।

এসব নির্বাচনী এলাকায় প্রচারে ছিলেন প্রার্থীরা। স্থগিতের পর সব ধরনের প্রচার এখন বন্ধ থাকবে। পরে যখনই ভোটের তারিখ দেওয়া হবে, এই প্রার্থীরাই তখন নির্বাচনে অংশ নেবেন।