দেশে শুরু হওয়া ‘কঠোর লকডাউনের’ প্রথম দিন কর্মস্থলে যাওয়ার পথে স্কয়ার হাসপাতালের যে চিকিৎসককে জরিমানা করা হয়েছিল, তাকে সেই অর্থ পরিশোধ করতে হবে না।
Published : 15 Apr 2021, 11:58 AM
ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব নিয়ে কথা ওঠার পর এবং সার্বিক দিক বিবেচনা করে ওই চিকিৎসককে যে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল, তা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
“তাকে ট্রাফিক অফিসে এসে বিষয়টি সমাধান করতে হবে।”
সরকারের প্রজ্ঞাপনে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের লকডাউনের আওতামুক্ত রাখার কথা বলা হলেও বুধবার লকডাউনের প্রথম দিন স্কয়ার হাসপাতালের কোভিড ইউনিটের চিকিৎসক নাজমুল হককে হাই কোর্টের সামনে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে আটকানো হয়।
চিকিৎসক নাজমুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন, সপ্তাহে তিনদিন তিনি হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন। তার বাবাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এ কারণে গত কয়েকদিন গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ থেকে অফিস করছেন। বুধবারও নিজের গাড়িতে করে অফিসে যাচ্ছিলেন।
“হাই কোর্টের সামনে চেকপোস্টে আমাকে পুলিশ সদস্যরা আটকায়। আমি জানি চিকিৎসকরা চলাচল করতে পারবেন। এ কারণে আমার আইডি কার্ড দেখাই। তারপরও আমার গাড়ির নামে ৩ হাজার টাকা জরিমানা লিখে দেয়,” বলেছিলেন তিনি।
পরে জরিমানা পরিশোধ করতে হবে না বলে ওইদিনই ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়।
নাজমুল হক বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, “ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা বুধবারই ফোন করে জরিমানার টাকা জমা না দিয়ে কাগজ নিয়ে যেতে বলেছেন।”
এই চিকিৎসক জানান, তিনি রাতের পালার কাজ শেষ করেছেন। বাসায় ফেরার পথে ট্রাফিক অফিসে গিয়ে বিষয়টি মিটমাট করবেন।