নামাজের আগে ও পরে সভা-সমাবেশ নয়: মন্ত্রণালয়

ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনার আগে-পরে কোনো ধরনের সভা ও সমাবেশ করা যাবে না বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 April 2021, 01:09 PM
Updated : 7 April 2021, 01:09 PM

বুধবার মন্ত্রণালয়ের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের সব মসজিদে জুমা ও ওয়াক্তের নামাজ এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনার আগে-পরে গণজমায়েত নিরুৎসাহিত করাসহ কিছু শর্ত প্রতিপালনের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

শর্তগুলো হলো-

>> জুমা ও অন্যান্য ওয়াক্তের নামাজ এবং প্রার্থনার আগে-পরে মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে কোনো প্রকার সভা ও সমাবেশ করা যাবে না।

>> মসজিদে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে তারাবিসহ অন্যান্য নামাজ আদায় করতে হবে এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রার্থনা করতে হবে।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ২৯ মার্চের প্রজ্ঞাপন এবং ৪ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ৫ এপ্রিল ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সব নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

৫ এপ্রিল ধর্ম মন্ত্রণালয় যেসব নির্দেষা দিয়েছিল সেগুলো হলো-

>> মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং মুসল্লিদেরকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে;

>> প্রত্যেককে বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নাত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

>> মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে; মুসল্লিদের নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।

>> কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

>> শিশু, বয়বৃদ্ধ, যে কোন অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে।

>> সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওজুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

>> সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত কল্পে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

>> মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না।

খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন। নির্দেশনা লংঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমন রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে অনুরোধ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।