অনেকটা ঢিলেঢালাভাবেই কেটে গেছে সোমবার লকডাউন শুরুর দিন। তবে গণপরিবহন না থাকায় কর্মজীবী মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
সরকারি নির্দেশনা মেনে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিকশা ও রিকশা চলেছে অন্যান্য দিনের মতই। পাড়া-মহলার দোকানপাটও খুলেছে। কাঁচাবাজারে মানুষের ভিড়ও দেখা গেছে।
সীমিত পরিসরে সরকারি অফিস-আদালতের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় গণপরিবহনের অভাবে বাধ্য হয়েই মানুষকে পায়ে হেঁটে কিংবা রিকশায় কর্মস্থলে যেতে হয়েছে।
এদিন সচল শিল্প-কারখানায় কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের কর্মস্থলে ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মানতে হলেও নিম্ন আয়ের এসব মানুষকে পথের ভোগান্তিতে গলদঘর্ম হতে হয়েছে।
সোমবার ডিএসসিসি এবং ডিএনসিসির কর্মকর্তারা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়মকানুন মানার বিষয়টি তদারক করেছেন।
ডিএনসিসি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সোমবার কারওয়ানবাজার এলাকায় ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা, মিরপুর এলাকায় ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা, নিকুঞ্জে ১৫ হাজার টাকা, হাজী ক্যাম্প এলাকায় ১০ হাজার ৫০০ টাকা, উত্তরখান এলাকায় ৪ হাজার ৭০০ টাকা, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় ১২ হাজার ৫০০ টাকা, ইব্রাহিমপুরে ৩৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অন্যদিকে ডিএসসিসির ১০টি অঞ্চলের প্রত্যেকটিতে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লকডাউন তদারকির দায়িত্বে ছিলেন। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জরিমানা হয়েছে এই সিটি করপোরেশন এলাকায়ও।
এদিকে এক সপ্তাহ ‘লকডাউনের’ আরও বাড়বে কিনা তা জানা যাবে বৃহস্পতিবার। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের লকডাউন পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর সিদ্ধান্ত হবে।
সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরুর দিনই সারাদেশে সাত হাজার ৭৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে দেশে টানা দ্বিতীয় দিনের মত ২৪ ঘণ্টায় সাত হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ল। সোমবার একদিনে দেশে সাত হাজার ৮৭ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে, যা ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় এ যাবৎকালের রেকর্ড। করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত দেশে ৯ হাজার ৩১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।