১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানিদের হাতে আটক হওয়ার আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান, সেই মুহূর্তে ঘোর অন্ধকার, হানাদারের গুলি আর বেয়োনেটে ক্ষতবিক্ষত দেশ।
এরপর চলে ৯ মাসের তীব্র লড়াই; ১৬ ডিসেম্বর আসে চূড়ান্ত বিজয়। শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ গঠনের পালা। ক্ষুধা আর দারিদ্র্যের সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের সামনে সাফল্যের অনন্য এক উদাহরণ।
দিনের শুরুতে মিরপুর সেনানিবাসে ৫০ বার তোপধ্বনি দিয়ে শুরু হয় স্বাধীনতা দিবসের উদযাপন। ভোরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই জোড়া উদযাপনে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনের এই কর্মসূচি শুরু হয় ১৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে। আজ শুক্রবার স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির দিনে তা শেষ হবে।
বিকালে ঢাকায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারের থিম ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা'। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, বিশেষ অতিথি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মহামারীর কারণে সীমিত উপস্থিতির এই অনুষ্ঠানে উন্মোচন হবে সুবর্ণজয়ন্তীর লোগো। ভারতের ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ‘মৈত্রী’ নামে বিশেষ রাগ পরিবেশিত হবে। বাংলাদেশে উদ্বোধন করা হবে ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল মিউজিয়াম’।
ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো সুবর্ণজয়ন্তীর বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় গত কয়েক দিন ধরেই চলছে আলোকসজ্জা।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ফেডারেশন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। সব ক্ষেত্রেই রয়েছে মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বাধ্যবাধকতা।
দেশের শিশুপার্ক ও জাদুঘরগুলোতে আজ টিকেট লাগবে না। বিভিন্ন ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাগুলো দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সাধারণের দেখার জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।