মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চের দেওয়া এক রায়ের এ পর্যবেক্ষণে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আদালত বলেছে, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ক্ষেত্রে দুদকের সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধি নেই। একারণে এ বিষয়ে দ্রুত সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধি করা প্রয়োজন। যতদিন আইন বা বিধি প্রণয়ন না হচ্ছে, ততদিন সংশ্লিষ্ট বিশেষ জজ আদালতের কাছ থেকে দুদককে অনুমতি নিতে হবে। তা না হলে সেটা সংবিধানের লঙ্ঘন।
গত বছর ২৪ আগস্ট সম্পদের তথ্য চেয়ে নরসিংদীর আতাউর রহমানকে নোটিস দেয় দুদক। তিনি তথ্য দাখিল করার পর ২২ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
এই অনুসন্ধান চলাকালে গত বছর ২০ ডিসেম্বর আতাউর রহমান যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন, সে জন্য ইমিগ্রেশন পুলিশকে চিঠি দেয় দুদক।
এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ব্যবসায়ী আতাউর রহমান চলতি বছর রিট আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট দুদকের নোটিসের বৈধতা প্রশ্নে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করে।
আদালতে আতাউর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুন্সী মনিরুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী একেএম ফজলুল হক।