জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক আবদুল লতিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মহামারীর সময়টায় বিভিন্ন প্রাণীর ১২০টি শাবকের জন্ম হয়েছে, যার মধ্যে চারটি জন্মেছে সম্প্রতি।
“চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকার কারণে পশুপাখির উপকার হয়েছে, ইমিউনিটি বেড়েছে। খাবার ভালো দিতে পেরেছি, পরিচর্যা ভালো হয়েছে। ওই সময় প্রাণিরা গর্ভধারণ করায় এখন তারা সন্তান প্রসব করছে।”
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি এবং ১১ মার্চ একটি করে ঘোড়া, ২ মার্চ একটি জলহস্তি ও ৫ মার্চ একটি জেব্রা শাবক জন্ম নিয়েছে।
মিরপুরে ১৮৬ একরের চিড়িয়াখানায় নতুন-পুরানো মিলিয়ে এখন দুই হাজার ৮২০টি প্রাণী রয়েছে।
অনেক শাবক জন্মালেও মহামারীর কারণে বাইরে থেকে নতুন প্রাণী আনা সম্ভব হয়নি বলে জানান চিড়িয়াখানার পরিচালক।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে নতুন প্রাণী আনার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে আবদুল লতিফ বলেন, চারটি লটে এক জোড়া করে কমন ইল্যান্ড, শিম্পাঞ্জি, ক্যাঙ্গারু, কালো ভালুক, চশমা বানর, আফ্রিকার সিংহসহ আট ধরনের প্রাণী আনার কথা ভাবছেন তারা।
পরিচালক জানালেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শঙ্কা দূর না হলেও এখন দর্শনার্থী সমাগম হচ্ছে স্বাভাবিক সময়ের মতই।
সাপ্তাহিক খোলার দিনগুলোতে সাধারণত ৮ থেকে ১০ হাজার এবং ছুটির দিনে ২০ থেকে ৩০ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হচ্ছে বলে জানান তিনি।