নারায়ণগঞ্জের আগুনে দগ্ধ পরিবারের একজনের মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জের এক বাসায় গ্যাসের বিস্ফোরণে দগ্ধ এক পরিবারের ছয়জনের মধ্যে গৃহকর্তা মো. মিশাল মারা গেছেন; মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বাকি পাঁচজন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2021, 05:05 AM
Updated : 10 March 2021, 05:19 AM

ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে মারা যান মিশাল।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ২৬ বছর বয়সী পোশাক শ্রমিক মিশালের শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

তার স্ত্রী মিতা বেগম (২৩), তাদের মেয়ে আফসানা আক্তার (৪),  দেড় বছরের ছেলে মিনহাজ, মিশালের দুই শ্যালক মো. মাহফুজ (২৪) ও সাব্বির হোসেন (১৫) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে পরিদর্শক বাচ্চু বলেন, “তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ১০ থেকে ৮০ শতাংশ দগ্ধ তাদের শরীর।”

সুলতান নামে একজন আত্মীয় জানান, মিশালের মৃতদেহ নারায়ণগঞ্জের মাসদাইরে নেওয়া হয়েছে; সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।

এই পরিবারের সদস্যরা থাকতেন নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম মাসদাইর পতেঙ্গায় ছায়াবিথি আবাসিক এলাকার ছয় তলা একটি ভবনে। সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের পর তাদের ফ্ল্যাটে আগুন ধরে যায়।

বিস্ফোরণ ও আগুনের খবর পেয়ে মণ্ডলপাড়া ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়, তবে তার আগে স্থানীয়রাই আগুন নিভিয়ে ফেলেন। ওই বাসা থেকে দগ্ধ ছয়জনকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় হাসপাতালে।

ওই ঘটনার পর মণ্ডলপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বেলাল হোসেন বলেছিলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে গ্যাস বেরিয়ে ফ্ল্যাটে জমেছিল। কেউ হয়ত সিগারেট বা কয়েল ধরানোর জন্য আগুন জ্বালে, তাতে জমে থাকা গ্যাসে ওই বিস্ফোরণ হয়।”

আর ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পর ফতুল্লা মডেল থানার পরির্দশক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, বিস্ফোরণে ওই ফ্ল্যাটের তিনটি কক্ষের দরজা, জানালা ভেঙে গেছে, সব আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

“তবে রান্নাঘর মোটামুটি অক্ষত অবস্থায় ছিল। সেখানে গ্যাস সিলিন্ডার পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সিলিন্ডারের গ্যাসই অন্যান্য ঘরে ছড়িয়ে পড়েছিল।”