আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা সঙ্কট ভুলে যায়নি: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 07 Mar 2021 12:42 AM BdST Updated: 07 Mar 2021 12:42 AM BdST
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কাজ করে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।
সম্প্রতি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে আসা এই কূটনীতিককের উদ্ধৃত করে শনিবার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শরণার্থী বা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা ও আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠীর কথা ভুলে যায়নি।
”শরণার্থীদেরকে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদার সাথে ও স্থায়ীভাবে ফিরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমারকে উৎসাহিত করতে আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে অব্যাহতভাবে কাজ করব।”

সেখানে তারা একটি দুর্যোগ প্রস্তুতি প্রকল্প, খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম, একটি শিক্ষাকেন্দ্র এবং একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প ও আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোভিড-১৯ মোকাবেলা কার্যক্রমে তাদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
এমন এক সময় তারা কক্সবাজার সফর করলেন যখন বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার এক বছর পূর্ণ হচ্ছে।
তাছাড়া ২০২০ সালের অক্টোবরে রোহিঙ্গা কার্যক্রমের বিষয়ে দাতাদের সম্মেলনের পর এটিই তাদের প্রথম সফর।
ওই সম্মেলনে আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠী ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য অতিরিক্ত প্রায় ৬০ কোটি ডলারের ত্রাণ তহবিলের সংস্থান হয়েছিল।

সেই সময়ে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ২৪ কোটি ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে, জাপান দিয়েছে ১৪ কোটি ডলার, এবং বাংলাদেশের আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠীসহ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যের পাশাপাশি মিয়ানমারে গণতন্ত্রকামীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, “গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার সকলের মুক্তি এবং সাংবাদিক, আন্দোলনকর্মী ও অন্যদের প্রতি আক্রমণ বন্ধে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বানকারী সকলের প্রতি আমরা জোর সমর্থন জানাচ্ছি।
”এখন সামরিক বাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে হবে এবং সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে হবে।”

”সংক্রমণের হার স্থিতিশীল থাকার পাশাপাশি টিকা কার্যক্রম চালু হওয়ার পরও মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো যাতে রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যাবশ্যক সহায়তা দিতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে আমাদেরকে আগের যে কোন সময়ের মতই বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষগুলোর সাথে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।”
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমাদের সহায়তার গতি আরো ত্বরান্বিত করা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সাথে সহযোগিতা জোরদার করার উদ্দেশ্যে আমরা এই যৌথ মিশনে যুক্ত হয়েছি।
”কক্সবাজারে মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত জনগোষ্ঠীকে অতিসত্ত্বর ফিরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে জাপান কাজ করে যাবে।”
-
লকডাউন: মৃত্যুময় সপ্তাহে কমেছে শনাক্তের হার
-
স্বাস্থ্যের নরম সুর, চাইল পুলিশের সহায়তা
-
খরতাপের পর হালকা বৃষ্টিতে স্বস্তি
-
মেট্রোরেলের প্রথম কোচ এলো ঢাকায়
-
বীর মুক্তিযোদ্ধার দাফনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ‘অবহেলার’ অভিযোগ
-
তুরাগ বালুরমাঠ বস্তিতে পুড়েছে দেড়শ ঘর
-
জরুরি এনআইডি সেবা সচল থাকবে
-
সিমাগো র্যাঙ্কিং: শীর্ষ পাঁচশতে নেই বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়
সর্বাধিক পঠিত
- অ্যাস্ট্রাজেনেকা’র কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন: রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা ও লক্ষণ
- ‘অর্থ সহযোগিতা’ চায় হাটহাজারী মাদ্রাসা
- সুপার লিগ থেকে সরে দাঁড়াল ইংল্যান্ডের সব দল
- তোফায়েল এখন বলছেন, হেফাজত প্রশ্নে তখনই শক্ত হওয়া দরকার ছিল
- মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ মিথিলার স্বপ্নভঙ্গ
- শান্তর সেঞ্চুরিতে স্বস্তির সুবাতাস
- কলকাতার একাদশে জায়গা হারালেন সাকিব
- শান্ত-তামিম-মুমিনুলের ব্যাটে স্বপ্নময় দিন
- এবার মদ্রিচকেও হারাল রিয়াল
- টিভি সূচি (বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১)