বুধবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করলে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন বলে আদালতের পেশকার ফয়েজ আহমেদ এ জানিয়েছেন।
এ মামলায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সমবায় ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক আব্দুল আলিম, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) হেদায়েত কবীর এবং সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ও সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংকের এসএস রোড শাখার ব্যবস্থাপক মো. মাহাবুবুল হক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। পরদিন তিনদিনের রিমান্ড শেষে সমবায় ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ওমর ফারুক ও সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) নুর মোহাম্মদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মহিসহ নয়জনের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এই মামলা করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম। এরপর রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ব্যাংক থেকে দুই হাজার ৩১৬ জন গ্রাহকের বন্ধক রাখা সাত হাজার ৩৯৮ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪০ কোটি ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৮৮ টাকা।
এর মধ্যে অন্য ব্যক্তিকে প্রকৃত গ্রাহক সাজিয়ে ১১ কোটি ৩৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮৬ টাকার স্বর্ণ আত্মসাৎ করেন তারা।