এমন অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানায় ওয়াপদা মোড় থেকে শনিবার রাতে একজনকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দেন ভুক্তভোগী এক গাড়ি চালকসহ কয়েক জন।
গ্রেপ্তার জাবেদ হোসেন চৌধুরী ওরফে জাহিন চৌধুরী (৩৭) পাহাড়তলী সরাইপাড়া বড় মসজিদ এলাকার বাসিন্দা।
পরে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন জনের সাতটি পাসপোর্ট, চেক বই ও বিভিন্ন জনের কয়েকটি বায়োডাটা, বেশকিছু এটিএম কার্ড ও সিভিল অ্যাভিয়েশনের ভুয়া পরিচয়পত্র ও উদ্ধার করা হয় বলে জানান হালিশহর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।
এ ঘটনায় মো. আকতার নামে এক গাড়ি চালক জাবেদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছে।
ওসি রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জাবেদের সুনির্দিষ্ট কোনো পেশা না থাকলেও নিজেকে সিভিল অ্যাভিয়েশনের সিনিয়র অডিট অফিসার পরিচয় দেন। বন্দর থেকে গাড়ি, স্বর্ণের বার বের করা এবং চাকরি দেওয়ার নামে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে অনেকে থানায় এসে তার প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ দিচ্ছে।
মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, আকতার নামে একজন চালকের সাথে ভাড়া নেওয়ার সুবাদে পরিচয় হয় জাবেদের। কয়েক বার আকতার তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার সুবাদে নিজেকে সিভিল অ্যাভিয়েশনের সিনিয়র অডিট অফিসার এবং চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরে কর্মরত আছেন বলে পরিচয় দেয় জাবেদ।
আকতারকে বিভিন্ন কথার সুবাদে জাবেদ নয় লাখ টাকায় এলিয়ন গাড়ির ২০০৮ মডেলের গাড়ি নিয়ে দেওয়ার কথা বলে। কথায় রাজি হয়ে আকতার গত ২১ জানুয়ারি সে তার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি এবং নগদ দুই লাখ টাকা প্রদান করে।
এভাবে নগদে এবং ব্যাংকের মাধ্যমে আরও দুই দফায় আকতার চার লাখ টাকা প্রদান করে জাবেদকে। পাশাপাশি সে আকতারের আরও এক বন্ধুকে ২৪ লাখ টাকায় ২০১৭ মডেলের এক্স নোহা মাইক্রোবাস নিয়ে দেয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকা দাবি করে।
ওসি রফিকুল আরও জানান, আকতারকে জাবেদ কাগজপত্র তৈরি হয়েছে এবং কয়েক দিনের মধ্যে গাড়ি বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।
পরে আকতার ও তার বন্ধু বিভিন্নভাবে খবর নিয়ে জানতে পারেন বন্দর থেকে এধরনের কোনো গাড়ি নিলাম হয়নি এবং চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে জাবেদ নামে কোন লোক চাকরি করেন না। তখন তারা প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে কৌশলে তাকে শনিবার বিকালে হালিশহর জি ব্লকের ওয়াপদা গেইটে নিয়ে আসেন এবং পুলিশকে খবর দেয়।