জমি দখলমুক্ত করে মাঠ তৈরি করা হবে: তাপস

কোনো প্রতিষ্ঠান বা ক্লাবকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের খেলার মাঠ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2021, 07:27 PM
Updated : 24 Feb 2021, 07:27 PM

বুধবার টিটিপাড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মাঠ পরিদর্শন শেষে একথা বলেন তিনি। 

মেয়র তাপস বলেন, “আমরা এখন যে জমিগুলো দখলমুক্ত করছি, অবমুক্ত করছি সেগুলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় উন্মুক্ত খেলার মাঠ হিসেবে আমরা উপযোগী করে গড়ে তুলছি। যাতে করে উক্ত ওয়ার্ডে আমাদের সন্তানেরা বা আশপাশের ছেলেরা যেন সেখানে খেলাধুলা করতে পারে। সুতরাং কোনো প্রতিষ্ঠান, কোনও ক্লাবকে আমাদের খেলার মাঠ আমরা দেব না।

“আমরা ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি জায়গা দখল মুক্ত করেছি। সেখানে খেলার মাঠের উপযোগী করে গড়ে তোলার কাজ চলছে। ইনশাল্লাহ আগামী মাস থেকে আমাদের ছেলেরা সেখানে খেলতে পারবে। ৪২ নম্বর ওয়ার্ড (লক্ষ্মীবাজার) একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা সেখানে উপযুক্ত কোন খেলার মাঠ ছিল না। এখন থেকে ছেলেরা সেখানে খেলাধুলা করতে পারবে। মুক্তাঙ্গণ জায়গাটি দখল অবস্থায় ছিল। সেই জায়গাটি আমরা দখল মুক্ত করেছি। সেখানেও খেলার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করছি। আমরা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মানিকনগরে বড় একটি জায়গা উন্মুক্ত করতে পেরেছি, অবমুক্ত করতে পেরেছি। সেখানেও আমরা যে অবকাঠামো নির্মাণ করছি, সেখানে উপযুক্ত খেলার মাঠের পরিবেশ আমরা তৈরি করে দিচ্ছি।”

খেলার মাঠ প্রসঙ্গে ফজলে নূর তাপস বলেন, “আমরা চাই, প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত একটি করে খেলার মাঠ কিংবা উন্মুক্ত স্থান থাকুক, যেন আমাদের সন্তানরা খেলাধুলা করতে পারে। আমাদের কাজ বেগবান করেছি, যাতে করে নগরবাসীকে উন্নত ঢাকার সুফল আমরা দিতে পারি। আজ কমলাপুর সংলগ্ন টিটিপাড়া এলাকা পরিদর্শন করেছি। এখানে রেলওয়ের জমিসহ বেশ কিছু সরকারি জমি অবৈধ দখল অবস্থায় আছে। এসব জমি যেন আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়, সেজন্য আমরা চিঠি দেব। এসব স্থানে খেলার মাঠের ব্যবস্থা করতে আমরা কাজ চালিয়ে যাব।”

নগরীতে মশার উপদ্রব প্রসঙ্গে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, “মশার ওষুধ বা কীটনাশকের মান যেন ঠিক থাকে সেজন্য আমরা বার বার পরীক্ষা করাই। বেশি দিন ধরে যদি একই কীটনাশক বার বার ব্যবহৃত হয়, তাহলে সেটি মশার জন্য সহনশীল হয়ে যায়। সেজন্য আমরা কীটনাশক পরিবর্তন করে দিচ্ছি। আগামী দুই সপ্তাহ পর থেকে নতুন কীটনাশক ব্যবহার করা হবে। আশা করছি, দুই সপ্তাহ পর থেকে মশা আরও বেশি নিয়ন্ত্রণে আসবে।”

অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “শীত মৌসুমে যেহেতু পানির প্রবাহ কমে যায়, তাই কিউলেক্স মশা বৃদ্ধি পায় এ সময়। আমরা নিয়মিতভাবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি। আশা করছি, আগামীতে মশা কমে যাবে।”

খালের বর্জ্য অপসারণ হলেও নদী দখল-দূষণমুক্ত করা না গেলে তার সুফল সঠিকভাবে পাওয়া যাবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, “বালু নদী ও রামপুরা খাল ভরাট করায় পানির প্রবাহ নেই। খাল পরিষ্কার কার্যক্রম মার্চ থেকে প্রসারিত করে এপ্রিল পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছি। আমরা পাম্প স্টেশনগুলো চালু করার পরিকল্পনা করেছি। একটি পাম্প (২টি পাম্প স্টেশনের মোট ৬টি পাম্প মেশিন) ইতোমধ্যে চালু করেছি। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাকি পাম্পগুলো চালু করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী। আগামী বর্ষা মৌসুমের মধ্যে খাল-কালভার্টের সংযোগগুলোতে যেন পানি প্রবাহ একটা অবস্থায় আনতে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।”

নদীগুলোর নাব্য ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি কাজ করছে বলে জানান ঢাকা দক্ষিণের মেয়র।

তিনি বলেন, “আমাদের স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সেটার সভাপতি। এরইমাঝে আমাদের দুটি সভা হয়েছে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী কমিটির সদস্য। ঢাকার চারপাশ ঘিরে থাকা চার নদী যাতে নাব্য ফিরে পায়, সে বিষয়গুলো আমরা কমিটিতে উপস্থাপন করেছি।”