আদাবর থানার পেছনে রিং রোড সংলগ্ন বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটির ২ নম্বর সড়কে বুধবার বিকালে এই ঘটনা ঘটেছে।
বিকট বিস্ফোরণ আতঙ্ক ছড়ালেও এতে কেউ হতাহত হয়নি। তবে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিকাল ৫টার পরপরই বিকট শব্দ এবং স্যুয়েরজ লাইনের ৫টি স্ল্যাব উপড়ে আসে বলে জানান ওই এলাকার ‘রাজধানী স্যানেটারি‘ নামে একটি দোকানের মালিক ইলিয়াস আহমেদ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিকট শব্দ হয়েছিল। এলাকা কেঁপে উঠে। আমার দোকানের সামনের স্ল্যাবটি প্রায় ৭/৮ ফুট উপরে উঠে যায়।”
এতে তার দোকানের ‘অনেক’ মালামাল নষ্ট হয়েছে বলে ইলিয়াস দাবি করেন।
তিনি বলেন, গত বছর এপ্রিল মাসেও এ ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। তখন ৪ নম্বর সড়কেরও বেশ কয়েকটি স্ল্যাব উঠে যায়।
তখন তিতাস গ্যাসের কর্মীরা এসে পরীক্ষা করলেও গ্যাস লাইনে কোনো ত্রুটি পায়নি বলে জানান তিনি।
বুধবার বিস্ফোরণের পর মোহাম্মদপুর ফায়ার ব্রিগেডের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।
এই দলের ‘লিডার’ দীন মোহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পয়ঃনিষ্কাশন নারীতে গ্যাস জমে এই ঘটনা ঘটতে পারে।
“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জমে থাকা বায়োগ্যাস বের হওয়ার কোনো সুযোগ না পাওয়ায় বিস্ফোরণের মাধ্যমে এই গ্যাস বের হয়ে এসেছে।”
তিনি বলেন, “স্ল্যাবগুলোতে কোনো ছিদ্র ছিল না। সড়কে স্ল্যাবগুলোর উপরে কার্পেটিংও করা হয়েছিল। ফলে বোঝার উপায় ছিল না যে এখানে স্ল্যাব আছে।”
এক প্রশ্নে জবাবে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, তিতাস গ্যাসের কোনো লাইন লিক হয়ে দুই গ্যাসের সংমিশ্রণে এই ঘটনা ঘটেছে কি না, তা তদন্ত না করে বলা যাবে না।
ঘটনাস্থলে যাওয়া তিতাস গ্যাসের টেকনিশিয়ান শাহ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্ল্যাবগুলো পুরোপুরি উঠিয়ে সেখান দিয়ে যাওয়া গ্যাসের লাইনে কোনো লিক আছে কি না, তা যাচাই না করা পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।”