পাউবোর ছয় হাজার পদ শূন্য

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বিভিন্ন গ্রেডে বর্তমানে প্রায় ছয় হাজার পদ শূন্য রয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2021, 12:45 PM
Updated : 24 Feb 2021, 12:45 PM

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এ প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত ১২ হাজার ৬৩৮টি পদের বিপরীতে ছয় হাজার ৬৫৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। পদ শূন্য রয়েছে পাঁচ হাজার ৯৭৯টি।

বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনের প্রাপ্ত তথ্য মতে, নিম্নতর গ্রেডে শূন্য পদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সর্বনিম্ন স্তর ২০তম গ্রেডে চার হাজার ৭৫৬টি পদের মধ্যে শূন্য রয়েছে দুই হাজার ৯৮০টি। ১৯তম গ্রেডে ৪৭৪টি পদের মধ্যে শূন্য পদ ২৪৫টি। ১৮তম গ্রেডে ৪৩৩টি পদের মধ্যে শূন্য ৩১৯টি। ১৭তম গ্রেডে ১১৮টি পদের মধ্যে ১১৫টিই শূন্য। ১৬তম গ্রেডে তিন হাজার ৩৮টি পদের মধ্যে শূন্য পদ এক হাজার ১২০টি। ১৫তম গ্রেডে ৩৫৪টি পদের মধ্যে ৯৩টি শূন্য রয়েছে।

১৪তম গ্রেডে ৬১৪টি পদের মধ্যে ২২১টি শূন্য রয়েছে। এভাবে ১৩তম গ্রেডে ২২৬টি পদের মধ্যে ৮৫টি, ১২তম গ্রেডে ১৯৯টি গ্রেডে ৯৮টি, ১১তম গ্রেডে ৪১টি পদের মধ্যে ১০টি, ১০ গ্রেডে ৯৫৮টি পদের মধ্যে ২৭০টি, ৯ম গ্রেডে ৬৩৯টি পদের মধ্যে ১৩৯টি পদ শূন্য রয়েছে। ৬ষ্ঠ গ্রেডের ৩৪৮টি পদের মধ্যে ১৫৯টি, ৫ম গ্রেডে ৩১৩টি পদের মধ্যে ১১৫টি, ৪র্থ গ্রেডে ৮৮টি পদের মধ্যে ৫টি পদ শূন্য রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সরকার অধিদপ্তর করার উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য খসড়া আইন প্রণীত হয়েছে। প্রস্তাবিত অধিদপ্তরের জনবল কাঠামো এবং খসড়া আইনের আলোকে বিধিমালা প্রস্তুত করা হচ্ছে।

চলমান প্রকল্পের জন্য হাজার কোটি টাকা চায় মন্ত্রণালয়

চলতি অর্থবছরে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় তাদের চলমান প্রকল্পের মধ্যে ৫৫টি সম্পন্ন করতে চায়। এর মধ্যে ৪৫টি প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

এসব প্রকল্পের জন্য এক হাজার ১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার দরকার হবে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এই টাকা চেয়ে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে ডিও লেটার দিয়ে এডিবিতে অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে নদী পুনঃভরাট রোধে খননকৃত মাটি/বালু নদীর তীর থেকে কমপক্ষে ১০০ মিটার দূরত্বে আর নদীভেদে ৫০০/১০০০ মিটার দূরে ফেলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়।

বর্তমান শুষ্ক মৌসুমকে কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে নদী খনন কাজ দ্রুত শেষ করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের বাজেট বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, এ এম নাঈমুর রহমান, সামশুল হক চৌধুরী এবং নুরুন্নবী চৌধুরী অংশ নেন।