‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামের প্রতিবেদনের জন্য আল-জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোস্তেফা সউয়াগসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আবেদন হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে এই মামলা গ্রহণের পক্ষে বাদী পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি শোনেন ঢাকার মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম।
বিকালে আদেশে তিনি বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নেওয়ায় মামলাটি ফেরত দেওয়া হল।
আল-জাজিরার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আরজি নিয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আদালতে যান আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে গেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন হয়।
মামলার আবেদনে আল-জাজিরার ওই প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট শায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি, নেত্র নিউজের সম্পাদক তাসনিম খলিল এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী ডেভিড বার্গম্যানকে আসামি করার আরজি জানানো হয়েছিল।
দুপুরে শুনানিতে বিচারক জানতে চান, বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে এই দেশে মামলা চলতে পারে কি না?
জবাবে বাদীর আইনজীবী আব্দুল খালেক বলেন, “আমরা দণ্ডবিধির ৩ ও ৪ ধারা ব্যাখ্যা করে বলেছি, এই মামলা বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে চলতে পারে।”
দণ্ডবিধির ৩ ধারায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আইন বলে বিচার যোগ্য যে কোনো অপরাধের বিচার দেশের বাইরে হলেও তা দেশীয় আইনে করা যাবে।
আর ৪ ধারায় বলা হয়েছে, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিককেও এই আইনের আওতায় বিচার করা যাবে।
মামলা ফেরত দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় বাদী মশিউর মালেক বিডিনিউজ টোয়ন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যেহেতু মামলাটি আদালত খারিজ করেননি। সরকার বা সরকারের বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তার আদেশ আনা গেলে মামলাটি নেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।”
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মামলার আরজিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রকাশের অভিযোগ করেছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, “প্রধানমান্ত্রী ও সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে সম্মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে যড়যন্ত্র করেছে। অবৈধভাবে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।”