বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে ‘অনৈতিক’ চাপ প্রয়োগের নিন্দা রংপুরে

পুরনো প্রতিবেদন মুছে ফেলার জন্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে কয়েক ডজন উকিল নোটিস পাঠিয়ে মামলার হুমকি দেওয়ার নিন্দা জানিয়েছে রংপুর ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2021, 08:40 AM
Updated : 24 Feb 2021, 04:31 AM

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলজার রহমান আদর এবং সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম জীবন এ ঘটনাকে ‘স্বাধীন সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করার কৌশল’ হিসেবে বর্ণনা করে সংশ্লিষ্টদের তা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, “বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত পুরনো প্রতিবেদন মুছে ফেলার জন্য প্রভাবশালী একটি মহল অনৈতিক চাপ প্রয়োগের অপচেষ্টা করছেন। এই ঘটনায় রংপুর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

“সেই সঙ্গে গণমাধ্যম বান্ধব বর্তমান সরকার প্রভাবশালীদের ঘৃন্য অপচেষ্টাকে প্রতিহত করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখার দাবি রাখছি।”

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ওই চাপের বিষয়গুলো সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রিমিয়ার গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ বি এম ইকবালের বিরুদ্ধে গত দেড় দশকে বিভিন্ন সময়ে যেসব মামলা হয়েছে, তার কার্যক্রম আর আদালতের আদেশ নিয়ে অন্য সব সংবাদমাধ্যমের মতো বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেসব মামলা থেকে তারা অব্যাহতিও পেয়েছেন। এখন, এতদিন পর, সেসব পুরনো খবর মুছে ফেলতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে অদ্ভুত কায়দায় চাপ দেওয়া হচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ইতোমধ্যে তিন ডজনের বেশি উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ চার সম্পাদকের নামে। সেখানে বলা হচ্ছে, ওইসব প্রতিবেদন ‘ডিলিট’ না করলে মামলা করা হবে। মামলা হবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আর মানহানির অভিযোগে। সব নোটিস মেলালে ক্ষতিপূরণ দাবির অংক দাঁড়ায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি।

ডা. এইচ বি এম ইকবাল নিজে কোনো নোটিস পাঠাননি। বিভিন্ন জেলা থেকে যারা নোটিস পাঠাচ্ছেন, তারা নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন ডা. ইকবালের বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে। এর মধ্যে অন্তত একটি নোটিসে ‘বিরূপ পরিণতির’ জন্য প্রস্তুত থাকার ‘হুমকিও’ দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার প্রত্যয় জানিয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, “বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নিজস্ব কোনো অনুসন্ধান এসব প্রতিবেদনে নেই; সম্পূর্ণভাবে মামলার কার্যক্রম ও আদালতের আদেশই সেখানে বস্তুনিষ্ঠভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তাহলে কোন যুক্তিতে একটি সংবাদমাধ্যম এসব প্রতিবেদন সরিয়ে ফেলবে?”

আরও পড়ুন