ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের জানান, গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে অন্যান্য যান-যন্ত্রপাতির সাথে কমলাপুর ও ধোলাইখাল পাম্পিং স্টেশন দুটিও বুঝে নেয় দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। তখন থেকে এই অচল পাম্পিং স্টেশনগুলো সচল করতে কাজ করে আসছিল ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিকেলে কমলাপুর পাম্পিং স্টেশনের তিনটি পাম্পিং মেশিনের মধ্য থেকে একটি পাম্প মেশিন সচল করা সম্ভব হয়েছে। ৫ কিউসেক ক্ষমতা সম্পন্ন এই পাম্প মেশিনটি প্রতি সেকেন্ডে ৫০০০ লিটার পানি সেচতে পারে। এখনও অচল থাকা বাকি পাম্প মেশিন দুটোর প্রতিটির ক্ষমতাও ৫ কিউসেক করে।
তিনি জানান, হস্তান্তরিত ধোলাইখালের অচল পাম্পিং স্টেশনের তিনটি পাম্প মেশিনই সচল করতে কাজ চলছে। সেখানেও তিনটি পাম্প মেশিন রয়েছে। এই পাম্প মেশিনগুলোর প্রতিটির ক্ষমতা ৭.৪ কিউসেক অর্থাৎ প্রতিটি মেশিন আলাদা আলাদাভাবে প্রতি সেকেন্ডে ৭.৪ হাজার লিটার পানি সেচতে পারে।
গত ২ জানুয়ারি থেকে দক্ষিণ সিটির জিরানী, শ্যামপুর ও মান্ডা খাল এবং সেগুনবাগিচা ও পান্থপথ বক্স কালভার্ট থেকে গত ৫২ দিনে ১ লাখ ৬ হাজার টন পলি মাটি এবং ২৬ হাজার ৯২০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন বলেন, “ওয়াসার কাছ থেকে খাল ও বক্স কালভার্ট বুঝে পাওয়ার পর থেকে মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা তিনটি খাল ও দুটি বক্স কালভার্ট পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি। নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা হতে মুক্তি দিতে পুরোদমে আমাদের এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কমলাপুর পাম্পিং স্টেশনের তিনটি পাম্প মেশিনের মধ্যকার একটি মেশিন সচল করতে পারা অবশ্যই এই কার্যক্রমের ইতিবাচক দিক।”