সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকের পর সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডেকে নিয়ে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে আসতে বলা হয়েছে। তারা প্রিভিউ করবে আমরা (শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) খুলব কিনা এবং কখন খুলব।”
“কুইকলি খোলা যায় কিনা, কী পদ্ধতিতে খুলব যাতে সেইফটিও ঠিক থাকে, একই সঙ্গে লেখাপড়াও হয়। কারণ এতদিন হয়ে গেছে। অন্যান্য দেশে ভার্চুয়ালি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলাই আছে। সেইসব দৃষ্টিকোণ থেকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, ‘আপনারা বসে চিন্তা-ভাবনা করেন আমরা খুলে দিতে পারি কিনা’।”
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর গতবছর ১৭ মার্চ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিছুদিন পর টিভিতে ও অলাইনে ক্লাস শুরু হলেও সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়নি।
স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরের ক্লাসে উঠেছেন পরীক্ষা ছাড়াই। আর অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের ফলফলের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ বা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে হল খোলার আন্দোলন নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছি কিনা তা জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকরা।
উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এটা আলোচনা হয়নি, তবে এটা আলোচনা হয়েছে যে, বিশেষ করে যারা আবাসিক শিক্ষার্থী, তাদের সেইফটিটাই হল সবচেয়ে বড় বিষয়। তাদের জন্য সেইফটি মেজার্স নিয়ে কীভাবে স্কুল কলেজ খোলা যায়, সেটা দেখার জন্য বলা হয়েছে।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এই সপ্তাহে না হলে আমরা আগামী রবি-সোমবারের মধ্যে ইনশাআল্লাহ বসে যাব। বসে বিশেষজ্ঞ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসনের সবাইকে নিয়ে বসে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।”
মহামারীর প্রকোপ কিছুটা কমে আসায় এবং এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির কথা বিবেচনা করে গত ২৩ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার প্রস্তুতি নিতে বলেছিল।
গত ২৪ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সংসদে বলেছিলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর প্রাথমিকভাবে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস হবে। বাকিরা সপ্তাহে এক দিন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্লাস করবে।
কিন্তু সর্বশেষ ২৪ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানানো হয়।