সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আমাদের পররাষ্ট্র নীতির গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। আমরা কীভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে বড় ভাইয়ের মতো আচরণ করছি।
“সৎভাবে বলতে গেলে বাংলাদেশ ১৭ কোটি মানুষের বড় দেশ। এই ধরনের চিন্তা করারও কোনো কারণ নেই।”
ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) আয়োজনে ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে ভারতের আচরণ নিয়ে জনগণের একটি অংশের ধারণা সম্পর্কে জানতে চাইলে দোরাইস্বামীর এই মন্তব্য আসে।
তিনি আরও বলেন, “এই ভীতি কেন আমার বুঝে আসে না। আমি বুঝি না কেন আমাদের ভুল বোঝে। কীভাবেই বা বড়ভাই সুলভ আচরণ করা হয়।
“আমাদের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার বাংলাদেশ। জাতীয় অর্থনীতির ২৮ ভাগ আপনাদের সঙ্গে। কাজেই দাদাগিরি করার কোনো উদ্দেশ্য ভারতের নেই।”
আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের আয়োজনে আসার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
তখন বৈঠকে তিস্তা চুক্তি হতে পারে কি না- এমন প্রশ্নে দোরাইস্বামীর না সূচক উত্তর আসে।
“আমরা পানি বণ্টনের গুরুত্বকে বুঝি এবং মূল্যায়ন করি। তিস্তা চুক্তি নিয়ে আমরা রাজ্য সরকারের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এখনও এটি করতে না পারা দুঃখজনক বাস্তবতা। খুব শিগগির এই চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম।”
করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে ভারতে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ ভিসাও চালু হয় যাবে বলে আরেক প্রশ্নে জানান হাই কমিশনার।
ভারতে বাংলাদেশিদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসার চালুর সম্ভাব্যতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “অন-অ্যারাইভাল ভিসার বিষয়টি আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে। এটির বাস্তবায়ন নির্ভর করছে দুই দেশের সক্ষমতার উপর।
“কারণ অনেক মানুষ নিয়মিত ভারত সফর করেন। সেটির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা আগে নিশ্চিত করা জরুরি।”
ডিক্যাবের সভাপতি পান্থ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিন।