পি কে হালদারের ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলা

বিশ কোটি ৭০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2021, 11:11 AM
Updated : 9 Feb 2021, 11:11 AM

সোমবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

মামলায় পি কে হালদারের আয়কর আইনজীবী সুকুমার মৃধা, তার স্ত্রী সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার (অপারেশন) তাপসী রানী শিকদার ও মেয়ে অনিন্দিতা মৃধা ছাড়াও পি কে হালদারের ঘটিষ্ঠ সহযোগী দুই ভাই অসীম কুমার মিস্ত্রি ও স্বপন কুমার মিস্ত্রিকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে মামলা দায়ের পর পর আসামি অসীম কুমার মিস্ত্রিকে সোমবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুদক কর্মকর্তা প্রনব বলেন, এই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছে আদালত।

অন্যদিকে পি কে হালদারের অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে এক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে গত ২১ জানুয়ারি সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অবন্তিকা মৃধাকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশে - বিদেশে অবৈধ পন্থায় নিজ নামে ও অন্যদের নামে বেনামে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ ২০ কোটি ৭০ লাখ ৮ হাজার ৮৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

একই সাথে আসামিরাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করার অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) দায়িত্ব পালন করে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন।

আইএলএফএসএল গ্রাহকদের অভিযোগের মুখে পি কে হালদারের বিদেশ পালানোর পর গত বছরের ৮ জানুয়ারি দুদক তার বিরুদ্ধে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

বিদেশে থাকা পিকে হালদার গত ২৮ জুন আইএলএফএসএলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে তার দেশে ফেরার জন্য ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেন।

আদালত তাতে অনুমতি দিলেও পি কে হালদার না ফেরায় ইন্টারপোলের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

ঢাকার জজ আদালত ইতোমধ্যে পি কে হালদারের সব স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করারও আদেশ দিয়েছে।