টিকা নিয়ে মুহিত বললেন, ‘নো ফিলিং অ্যাট অল’

মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর আবুল মাল আব্দুল মুহিত ছিলেন লোকচক্ষুর আড়ালে। অনেকদিন পর দেখা মিলল তার।

ওবায়দুর মাসুম জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2021, 07:15 AM
Updated : 9 Feb 2021, 08:30 AM

মঙ্গলবার হুইল চেয়ারে করে টিকা কেন্দ্রে আসেন অশীতিপর মুহিত।টিকা নেওয়ার পর বললেন, ‘নো ফিলিং অ্যাট অল’।

বেলা সোয়া ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে টিকা নিতে আসেন বাংলাদেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী, ৮৭ বয়সী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

মাস্ক, ফেসশিল্ড পরা মুহিতের টিকা নেওয়ার আগের আনুষ্ঠানিকতা সারেন পরিবারের স্বজনরা। আনুষ্ঠানিকতা সেরে সাড়ের ১১টার দিকে ভিআইপিদের জন্য নির্ধারিত বুথ থেকে টিকা নেন তিনি।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মুহিত।

তিনি বলেন, নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর গত মার্চ মাস থেকে বাসায় ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার টিকা নেওয়ার জন্য বাসার বাইরে এসেছেন।

টিকা নেওয়ার পর অনুভূতি কেমন জানতে চাইলে বলেন, “কিছু তো টেরই পাইলাম না। নো ফিলিং অ্যাট অল। আগে যেসব ইনজেকশন নিতাম, সেগুলোতে যেমন যাতনা হত, তাও হয়নি।”

করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

“আপনারা সকলে ভ্যাকসিন নেন। এটা আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য প্রয়োজন, সমাজের জন্য প্রয়োজন। ৮৭ বছর বয়স…আমার শেষই হয়ে গেছে জীবন। আমি (টিকা) নিচ্ছি।”

টিকা নেওয়ার পর বিশ্রামের জন্য নির্ধারিত জায়গায় যান মুহিত।

এ সময় সাবেক অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই এ কে এ মুবিন, এএসএ মুইজ, বোন শাহলা খাতুন, শিপা হাফিজা, নাজিয়া খাতুন, রিও আজিজা, মুবিনের স্ত্রী লুলু মুবিন এবং মুহিতের পুত্রবধূ মানতাশা আহমেদ ছিলেন। তারাও টিকা নিয়েছেন।

নভেল করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার তৃতীয় দিন সারাদেশের টিকাদান কেন্দ্রগুলোয় মানুষের ভিড় বেড়েছে।

বেলা মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে টিকাদান। চলবে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত।

৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকাদান শুরু হয়। ওইদিন টিকা নিয়েছিলেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। সোমবার সারাদেশে ৪৬ হাজার ৫০৯ জন টিকা নিয়েছেন।