সোমবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বলা হয়, গণস্বাস্থ্য আরএনএ মলিকুলার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার করোনাভাইরাস ভেরিয়েন্টের সম্পূর্ণ জেনোম সিকোয়েন্স করেছে।
“গবেষকরা জেনোম সিকোয়েন্সের ডেটার মধ্যে ভাইরাসের মেমব্রেন অঞ্চলসহ স্পাইক ও নিউক্লিওক্যাপসিড অঞ্চলে এক বা একাধিক (E484K, D614G) মিউটেশন দেখতে পেয়েছেন।”
E484K মিউটেশনের ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের এন্টিবডির কার্যকারিতা কমে যায়। করোনাভাইরাসের এই ধরনটি দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলসহ কয়েকটি দেশে দেখা দিয়েছে।
মতবিনিময় সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নিহাদ আদনান।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে যে ধরনটি পাওয়া গেছে সেটি আইসোলেটেড। সাউথ আফ্রিকান ভেরিয়েন্টের একটি অংশ।”
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তথ্য মতে, গণবিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ এই গবেষণা করেছে। সিকোয়েন্সের তথ্য জিআইএসএইড ও এনসিবিআই ডেটাবেইজে জমা দেওয়া হয়েছে।
সভায় গণস্বাস্থ্যের ‘করোনা কিটের’ সমন্বয়ক এবং মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মুহিব উল্লাহ খোন্দকার বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন ধরনের সঙ্গে মিল থাকলেও এখনও বলা যাবে না ধরনটি বাংলাদেশে চলে এসেছে।
মতবিনিময় সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, শুধু ব্যবসায়ীদের দিকে নজর না দিয়ে সরকারকে গবেষণার দিকেও নজর দিতে হবে।
“গবেষণার দিকে নজর দিলে করোনাভাইরাস বিষয়ে ব্যাপক আকারে গবেষণা করা যাবে।”
বাংলাদেশের ৪৩ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তা থেকে কিছু টাকা গবেষণার জন্য খরচ করা হোক। এই টাকা যেন ব্যবসায়ীরা খেয়ে না ফেলে সেজন্য প্রতিবার সরকারকে অনুরোধ করছি মাত্র হাফ বিলিয়ন ডলার, জনপ্রতি মাত্র ৩ ডলার সরকার গবেষণার জন্য বিনিয়োগ করুক।”
মতবিনিময় সভায় গণস্বাস্থ্য সামাজিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান ডা. অধ্যাপক মামুন মোস্তাফী. মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ড. মাহবুবুর রহমান, গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের আইসিইউ প্রধান অধ্যাপক ডা. নজিব মোহাম্মদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।