চট্টগ্রামে ইসির নিয়ন্ত্রণ না থাকলে নির্বাচন ভণ্ডুল হবে: মাহবুব তালুকদার

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বাকি মেয়াদে ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’ মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, সেখানে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ না থাকলে নির্বাচন ‘ভণ্ডুল হবে’।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Jan 2021, 12:16 PM
Updated : 25 Jan 2021, 12:16 PM

চট্টগ্রামে ভোটের দুই দিন আগে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা জানিয়ে এ সতর্কবার্তা দিলেন তিনি।

সুষ্ঠু নির্বাচন দল-মত নির্বিশেষে সবার জন্য দেশপ্রেমের অগ্নিপরীক্ষা বলেও মন্তব্য করেছেন এই নির্বাচন কমিশনার।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে প্রায় ১০ মাস পিছিয়ে আগামী বুধবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ হবে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ কয়েকটি দলের নেতারা এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এরইমধ্যে মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের অনুসারীদের সংঘর্ষে দুইজনের প্রাণহানিও ঘটেছে।

এই প্রেক্ষাপটে সোমবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে বরাবরের মতো ‘আমার বার্তা’ শিরোনামে লিখিত বক্তব্য দেন মাহবুব তালুকদার।

তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কার্যকালের অবশিষ্ট সময়ে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতার শঙ্কা ও উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

“পরিবেশ সুষ্ঠু না হলে অবাধ নিরপেক্ষ আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়, নির্বাচনের পূর্বশর্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ধারণাও অবান্তর হয়ে যায়। তাই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পক্ষ-বিপক্ষের ভারসাম্য সৃষ্টি আমাদের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ।”

অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে আসা এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, “এই নির্বাচন নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকা অপরিহার্য, নইলে তা ভণ্ডুল হয়ে যাবে।”

মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র অবলম্বন। ভোট হচ্ছে স্বাধীন দেশে জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রতীক, একটি ‘পবিত্র আমানত’। এর মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়। নির্বাচন ভূলুণ্ঠিত হলে গণতন্ত্রও ভুলুণ্ঠিত হয়ে যায়।

“আমি আশা করি, এই অতীব গুরুত্ববহ নির্বাচনে ভোটার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচন কাজে নিয়োজিত সকল অংশীজন প্রত্যেকেই নিরপেক্ষভাবে দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জাতি হিসেবে আমাদের আত্মমর্যাদা সমুন্নত রাখবেন।”

ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করেন এ নির্বাচন কমিশনার।

তিনি বলেন, “কোনো ঘটনার দায় ইসি এড়াতে পারে না। সেজন্যই তো ইসিকে এত সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হয়।

“বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের আইনানুগভাবে অবশ্যই প্রতিহত করতে হবে। আমরা জনগণের মনে নির্বাচনের প্রতি আস্থা সৃষ্টি করে ও তাদের উদ্বুদ্ধ করে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় শামিল হতে চাই।”